ঢাকা: বর্তমানের অন্তর্বর্তী সরকার পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকারের সব কার্যক্রমকে অবৈধ, বিতর্কিত প্রমাণ করার চেষ্টায় লেগেছে।
অথচ, এই সরকার কুর্সি দখলের জন্য রক্তাক্ত করেছে দেশ। ৫ আগস্টের পর দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে।
এখন তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এবার তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পেছনে যেসব প্রশাসনিক ও নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৭ জুন (সোমবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যেসব কর্মকর্তার ভূমিকা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তাদের আইনি ও নৈতিকভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
দায়িত্বশীল পদে থেকে যাঁরা ভোটারবিহীন নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছেন, তাঁদের দায় অস্বীকার করা যাবে না।”
ইউনূস নির্বাচন নিয়ে খুব আতঙ্কে আছেন।
প্রশ্ন, দেশের মানুষকে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের জন্য কেনো আরো ১০ মাস কেন অপেক্ষা করতে হবে?
“মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটা সংস্কার” আন্দোলন কোন কারণে হাসিনা সরকার পতনে রূপ নিলো?
কেনো মি: ইউনুসের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক “জাতীয় সরকার” গঠিত হতে পারলো না?
এখন বিগত তিনটি নির্বাচন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে বিরোধীহীন সরকারী জোটের বর্তমান নির্বাচন না করার অপচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না কেনো?
আগামিতে মি: ইউনুস “নিরপেক্ষ” নির্বাচন করতে পারবেন এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
অথচ এইগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয় না।