চট্টগ্রাম: বিএনপির ছাত্রদল আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাইজ্যায় উত্তপ্ত চকবাজার।

চট্টগ্রামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুই ছাত্র সংগঠন।

মো. আরিফ নামে সরকারি মহসীন কলেজের শিক্ষার্থীকে ‘ছাত্রলীগকর্মী’ ট্যাগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ছাত্রদল।

অন্যদিকে, তাকে নিজেদের সংগঠনের সদস্য দাবি করে রাস্তায় নামে ছাত্রশিবির। এতেই থানা থেকে রাস্তায় গড়ায় সংঘর্ষ।

রাতভর গোলাগুলিতে কেঁপে ওঠে চকবাজার এলাকা, হাসপাতালে ভর্তি হয় কয়েকজন। ভয়াবহ অবস্থা এদের।

হামলায় ছাত্রদল ও যুবদলকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। ছাত্রশিবিরের ৩ জন গুলিবৃদ্ধ ও ২২ জন আহত হয় বলে জানা যাচ্ছে।

ছাত্রদল ও যুবদলের এই সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেলো?

আসলে যারা চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজি করলো প্রশাসন কি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে?

তবে যাকে তাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে অত্যাচার করার অধিকার তো ছাত্রদলের নেই। যে কোনো ঘটনায় ট্যাগ দেয়ার রীতি চলছে।

শিবিরের ছেলেকে ছাত্রলীগ বানিয়ে দিলে তো হবে না। ছাত্রশিবির দাবি করছে— তিনি তাদের সংগঠনের। তাই তারা আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে।

এরপর দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। বাঁধে সংঘর্ষ, হয় গোলাগুলি। আহত হয়ে কয়েকজন ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে।

এক পর্যায়ে চকবাজার থানা বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *