চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে চিকুনগুনিয়া।
ঘরে ঘরে ছোট বড় সকলে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। এ এক জটিল পরিস্থিতি পুরো চট্টগ্রামের।
সংক্রমণের হার ৯০ শতাংশের বেশি। আক্রান্ত হচ্ছেন একই পরিবারের একাধিক সদস্য।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়ায় রোগে আক্রান্তের হার বাড়লেও সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা একবারেই খারাপ। নেই রোগ নির্ণয়ের কিট।
সরকারি হাসপাতালে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা নেই। সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। রোগীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
জানা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা ৩০০ টাকা করে নেওয়া হলেও চিকুনগুনিয়ায় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষায় নেওয়া হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আর দুর্যোগে বাংলাদেশ কেমন ব্যবসা করে তা তো অজানা নয়।৪০ টাকা পানির বোতল হয়ে যায় ৬০০ টাকা!
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর বুধবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬৫ জন।
এর মধ্যে শিশু ১৪৬, পুরুষ ৪৬৬ ও মহিলা ২৫৩ জন। অপরদিকে একই সময়ে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮৪ জন।
ডেঙ্গুকে ছাড়িয়ে গেছে চিকুনগুনিয়া।
এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে উচ্চমাত্রার জ্বর থাকছে, শরীরে তীব্র ব্যথা, কখনও ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
অনেক সময় জ্বর সেরে গেলেও কয়েক সপ্তাহব্যাপী জয়েন্টের ব্যথা থেকে যাচ্ছে।
হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।
আতঙ্ক ছড়ালেও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নেই কার্যকর উদ্যোগ।