মিরপুর: শিশুর নিরাপত্তা নেই। শিশুগুলো সঠিকভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে বেড়ে উঠবে কীভাবে? এত অত্যাচার, নির্যাতন কি শিশুর মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করছে না? রাষ্ট্রের কি এতটুকু দায়িত্ব নেই জনগণের প্রতি?
গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ছয় মাসে রাজধানীতে ২৫৮ শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু নির্যাতনের শিকার হয় তেজগাঁও ও মিরপুর অঞ্চলে।
তবে মামলা হয়েছে এতগুলো, মামলা ছাড়াও কত ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে, সেগুলোর হিসেব তো নেই বললেই চলে।
মাঠপর্যায়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত হয় থানায় থানায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হিসাব অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ছয় মাসে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ৫৮টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে তেজগাঁও অঞ্চলে।
মিরপুরে ৪৮টি, মতিঝিলে ৪০টি, গুলশানে ৩৪টি, রমনায় ৩১টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া আরো আছে। ওয়ারীতে ২১টি, উত্তরায় ১৭টি এবং লালবাগে ১৩টি শিশু নির্যাতনের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
এছাড়া আরো তো ঘটনা আছেই, যেগুলো বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক কারণে চাপা পড়ে যাচ্ছে! কী কঠিন অবস্থা দেশের!
তাছাড়া আপনারা কি মনে করেছেন, যে অভিযোগগুলো থানা পর্যন্ত আসে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলো অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত সমঝোতা করে নেয়। দোষী কোনোদিন শাস্তি পাবে না , মহাজন ইউনূসের হেফাজতে সবাই।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, তেজকুনিপাড়া, নাখালপাড়া ও কারওয়ান বাজার নিয়ে ডিএমপির তেজগাঁও অঞ্চল।
এর মধ্যে কারওয়ান বাজারে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার। এখানে প্রচুর শিশু শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে। নির্যাতনের শেষ নেই শিশুদের।
শুধু তাই নয়, শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। নবাবগঞ্জে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী তার শিক্ষকের হাতে নির্যাতিত হয় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
তবে সমাজের যত অধঃপতন হোক, সরকার কোনো দায় নেয় না। যে যা মতে আছে। বিদেশে গিয়ে নিজেকে উজাড় করে ভাষণ দিয়ে আসছে, ব্যস! মিটে গেলো!
