ঢাকা: চীন এমন একটা রাষ্ট্র তারা যে দেশে বিনিয়োগ, ঋণ, সহযোগিতা, বন্ধুত্ব করেছে সেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে গিয়েছে!

তবে বাংলাদেশের বিষয়ে চীনের ভীষণ আগ্রহ। স্বার্থ ছাড়া চীন আগ্রহ দেখায় না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীন এত আগ্রহ দেখায় কেন?

অর্থ সাহায্য বা ঋণের পুরো বিষয়টাতে বাংলাদেশের যতটুকু স্বার্থ রয়েছে, চীনের স্বার্থ তার থেকেও বেশি স্বার্থ রয়েছে।

বাংলাদেশে চীনের ঠিক কী ধরনের স্বার্থ রয়েছে এবং এই ভূখণ্ডে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়ে তারা আসলে কী অর্জন করতে চাচ্ছে?

চীন বাংলাদেশের শীর্ষ ঋণদাতা দেশগুলোর একটি। ঋণ দিয়ে তারা সুদের টাকা পাচ্ছে, অন্যদিকে দেখা যায়, চীনা ঠিকাদাররাই ওইসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

লোকবলেরও একটা বড় একটা অংশ চীনের ই। সরকারি হিসেবে দেখা গেছে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে চীনা নাগরিকরাই শীর্ষে।

দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে থাকে চীনের কাছ থেকেই। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক বিবেচনায় বাংলাদেশ চীনের বড় রপ্তানির উৎস।

তাই বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কারণে চীন বাংলাদেশকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

এছাড়াও চীন মূলতঃ এই অঞ্চলে একটা আধিপত্য রাখতে চায়, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে।

ডিপ স্টেটের থেকেও ভয়ঙ্কর এই চীন।

চীন ইউনূসকে পুরো খাতির করে। ইউনূসও। চীন সফরে গিয়ে উচ্ছ্বসিত নোবেলজয়ী।

চীনের হাইনান প্রদেশের কিয়ংহাই বোয়াও বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বহনকারী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের বিশেষ উড়োজাহাজ।

উড়োজাহাজ থেকে নামার পথে বিছানো ছিল লালগালিচা।

এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় দুই দেশের সম্পর্ক ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার কথা।

তবে চীনের পক্ষ থেকে নাকি সরকারি পর্যায়ে বড় কোনো প্রকল্পের ঘোষণা বা কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতির আশ্বাস নেই।

তবে ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানানো আর ঋণ এই দুটো বিষয় আলাদা।

চীন ভালোই‌ জানে ইউনূস সরকারের স্থিতিস্থাপকতা নেই।

আর সেই সংগত কারণেই ঋণ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন কার্যকর সাড়া দিচ্ছে না। তারা নিশ্চয়তা চায়।

এমনটাই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ।

চীন রাজনৈতিক সরকারকে অগ্রাধিকার দেবে। রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে যখন ঋণ চুক্তি হয় তখন সেটার স্থিতিশীলতা থাকে।

মূল কথা চীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *