চট্টগ্রাম: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার- নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত নেতা সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কোনভাবেই ছাড় দিতে রাজী নয় জঙ্গী ইউনুস সরকার।

শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বেই যিনি সনাতনী সমাজের প্রতিবাদী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

অথচ চট্টগ্রামে পুলিশ কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় এক আইনজীবী হত্যাকান্ডে তাঁকেই প্রধান আসামী করা হয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিভাবে তিনি হত্যা করলেন ওই সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভু তা নিয়ে সচেতন মহলেই প্রচণ্ড সমালোচনা হচ্ছে।

কিন্তু ইউনুস সরকার তাঁকেই টার্গেট করে কারাগারে আটকে রেখেছে। মূলত: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্দোলন দমাতেই চিন্ময় প্রভূকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

আইনজীবী হত্যার সময় চিন্ময় প্রভু পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তবুও তাঁকে হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।

এটাই বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যেখানে একজন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরেও হত্যা মামলার আসামী হয়ে যায়। এটাই দেশ সংস্কার করছেন ইউনূস।

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার অভিযোগপত্রে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে। এবং আরো ৩৮ জন‌ নিরীহকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তদন্তকারী আধিকারিক বলছেন, চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গনে চিন্ময় প্রভুর ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের কারণেই হত্যাকান্ড ঘটে।

কিন্তু কীভাবে? এর কোনো উত্তর নেই।

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী আধিকারিক চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।

তিনি বলেন, “মোট ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারী।”

তদন্তকারী আধিকারিক জানান, “এই মামলায় প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের তালিকায় যে ৩১ জনের নাম ছিল, তাদের মধ্যে তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। বাকি ২৮ জনকে অভিযোগপত্রে ‘আসামি’ করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে যাদের নাম এসেছে এমন আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।”

হিন্দু নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে, আর মিথ্যা মামলায় চিন্ময় প্রভুর জীবন সংকটে!

বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। তবে বাস্তবে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে সহিংসতা ও নিপীড়ন চলছে, তা গভীর উদ্বেগের।

প্রত্যেকটা ঘটনায় রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের নীরবতা এবং বিচারহীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *