চট্টগ্রাম: ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কত স্বপ্ন। কত শ্রমিক আজ কর্মহারা হয়ে গেলো। এমনিতেই একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, চোখেমুখে অন্ধকার দেখে শ্রমিকরা।
৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আর তার উপর তো আগুন লেগেই চলেছে। না আছে উপযুক্ত কাঠামো আগুন নিয়ন্ত্রণের, আর না হচ্ছে সঠিক তদন্ত।
এত আগুন কেন?
চট্টগ্রাম ইপিজেডের দু’টি কারখানায় লাগা আগুন প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ (১৭ অক্টোবর) সকাল প্রায় ৭ টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত ছিল সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং বিজিবি।
আগুনের ভয়াবহতায় ধসে পড়েছে কারখানার ৮ তলার ছাদ।
প্রাণের চট্টলা এইভাবেই শেষ হচ্ছে। শত-শত মানুষের কর্মস্থল দাউদাউ করে জ্বলছে! চট্টগ্রামে এমন ভয়াবহ আগুন দেখে বুক কেঁপে উঠেছে মানুষের।
এই আগুন বুঝিয়ে দিলো চট্টগ্রামে বহুতল ভবনে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা। অধিকতর উন্নত প্রযুক্তির ঘাটতি! আজও কেন এই অবস্থা?
চট্টগ্রাম-না দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী? মহাজন না সংস্কার করতে এসেছেন দেশ?
স্বাধীনতার এতো বছর পর এমনকি বিশ্বায়নের এ যুগে এসেও কেন প্রাণের চট্টগ্রাম এখনো অবহেলিত! কেন অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি, ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলো না? অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে আমরা সচেতন হবো কবে?
দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র হয়েও এখানে না আছে ঠিকমতো রাস্তা, না আছে ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জনগণ কী করবে? কোথায় যাবে?
যা উন্নয়ন, টাকার প্রবাহ সব ঢাকায়—আর চট্টগ্রামকে রেখে দেওয়া হয়েছে অবহেলার অন্ধকারে।
কীভাবে এই দানব আগুনের সূত্রপাত হলো সেটি খুঁজে বের করতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
