চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট হচ্ছে। তাই জাহাজ আসা কমিয়ে দিতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, নৌ বাণিজ্যে তা ভীষণভাবে নীতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই ঘটনাটা মাথা ব্যথা হয়েছে, ওষুধ না খেয়ে মাথা কেটে ফেলার মতো ঘটনা!
কনটেইনারভর্তি পণ্য নিয়ে একের পর এক জাহাজ আসছে। খালাস শেষে রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে বন্দর ছাড়ছে জাহাজগুলো।
পণ্য পরিবহনের চাপ কেন সামাল দেয়া যাচ্ছে না? তার জন্য তো বাণিজ্যে ক্ষতি করা যাবে না!
চাপ সামাল দিতে না পারায় বন্দরে কনটেইনার জাহাজের জট বাড়ছে। আর এই জট কমানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের পথে চলাচলরত কনটেইনার জাহাজের সংখ্যা কমাতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাহাজ যাতে কম আসে সে জন্য বন্দরের নেওয়া পদক্ষেপ রীতিমতো হতবাক করেছে শিপিং এজেন্টদের।
এমন কাণ্ড বাংলাদেশেই একমাত্র। আশ্চর্য ঘটনা।
শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, দুর্যোগের সময় ছাড়া কোনো বন্দরে চলাচলরত জাহাজের সংখ্যা কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নজির বিশ্বে কোথাও নেই।
বরং উল্টোটা হয়। বিশ্বের নানা বন্দর বা কনটেইনার টার্মিনালগুলোতে যাতে জাহাজ ভেড়ানো হয় সে জন্য শিপিং কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হয়।
অর্থনীতি যেখানে ভঙ্গুর, সেখানে কী কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে বাংলাদেশে?
এ কাজের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ বা টার্মিনাল পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোর বিপণন বা বাণিজ্য দল রয়েছে। চট্টগ্রামে হচ্ছে উল্টোটা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের পথে এখন ১১৮টি কনটেইনার জাহাজ নিয়মিত চলাচলের অনুমোদন রয়েছে।
বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও চীনের বিভিন্ন বন্দরে জাহাজ চলাচল করে।
২০ জুলাই বন্দরের এক সভায় বন্দরের পথে চলাচলরত ১৫টি জাহাজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আর ১৫টি জাহাজ কমানো হবে যে তার তালিকা শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে নিজ উদ্যোগে বন্দরকে দেওয়ার জন্য বলা হয় ওই সভায়।
এতে করে কার্যত অবাক এজেন্টস।
এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, জাহাজ জটের কারণে বহির্বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।