ঢাকা: ইউনূস জঙ্গী বাহিনীর হাতে ৫ আগস্টের পর সব‌ স্বাধীনতাই পরাধীনতা হয়ে গেছে।

২০২৪, ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনকন্ঠের নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগ বিরোধীদের বিশেষ করে জামায়াত ও এনসিপি সমর্থিত ব্যক্তিদের হাতে চলে যায়।

এমন আরো অভিযোগ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকার অনেক সংবাদপত্র, টেলিভিশনের মালিকানা থেকে শুরু করে কর্মী পর্যায় পর্যন্ত পরিবর্তন হয়েছে।

কোথাও কোথাও চাপ দিয়ে অথবা মব তৈরি করে পরিবর্তন আনার অভিযোগ আছে।

পত্রিকাটির মালিক পক্ষ, মালিক-বিরোধী গ্রুপ সংশ্লিষ্টদের মতে, আওয়ামী লীগের পতনের কিছুদিন আগে গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের চীফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা আফিজুর রহমান।

মালিক পক্ষ অভিযোগ করেছে, আওয়ামী লীগের পতনের পর তিনি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি’র সাথে জড়িত কয়েকজনকে পত্রিকাটিতে সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ দেন।

শুধু তাই নয়, একজন বিএনপি নেতার স্ত্রীকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসেন তিনি। আওয়ামী বিরোধী, রাজাকারদের দিয়ে ভর্তি করেছেন।

পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদক শামীমা এ খান অভিযোগ করেছেন, আফিজুর রহমান সব পুরনোদের বাদ দিয়ে নতুন লোকজন এনেছেন এবং তারা ষড়যন্ত্র করে পত্রিকা দখল করেছে।এরা এখন ধড়াকে সড়া জ্ঞান করা শুরু করেছে। জামাতের যা ধর্ম তাই করছে।

তারাই আগস্টে পত্রিকার ব্যানারে লাল-কালো ইস্যু তুলে সাবোটাজ করেছে। নিজেরাই পত্রিকার টেম্পলেট কালো করে আমাদের নামে প্রচার করে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

ইউনুস সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো দখলে নেয়ার জন্য যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

যাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা না থাকে, সঠিক খবর না বের হয়।

এতে বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গী টোকাইদের সংগঠন এনসিপি’ র নেতারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।

সংবাদপত্র, টিভি ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে এসব দল নানাভাবে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি, তাদের লোকজন বসানোসহ পুরো প্রতিষ্ঠান দখলের নগ্ন ঘটনা ঘটে আসছে। এর সর্বশেষ শিকার এই দৈনিক জনকন্ঠ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা মুখে মুখে বলা হলেও, এই সময়েই সংবাদ মাধ্যম সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। সাংবাদিকরা সঠিক প্রশ্ন জিগাসা করলে বরখাস্ত হচ্ছেন।

এই দেশে সংবাদমাধ্যম এমন নিয়ন্ত্রণে, এমন মুখ বন্ধ অবস্থায় কোনকালেও ছিলো না।

এই অবস্থায় জনকন্ঠের মত এমন সমৃদ্ধ জনপ্রিয় একটি সংবাদপত্র জবরদখল, অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে মারাত্মক হুমকিতে ফেলে দেবে।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক শামীমা এ খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পত্রিকাটির উপপ্রধান প্রতিবেদক ইস্রাফিল ফরাজি।

এ ঘটনায় জনকণ্ঠ ভবনে দখল, প্রতিপক্ষের ‘সম্পাদকীয় বোর্ড’ গঠন এবং দুই দিনের ছাপাখানা বন্ধের ঘোষণা ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা।

মামলার পাশাপাশি একদল সাংবাদিক এবং কর্মচারী জনকণ্ঠের মালিকপক্ষকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে শামীমা খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

এমনকি তারা ‘সর্বসম্মতিতে’ একটি নতুন সম্পাদকীয় বোর্ড গঠন করে পত্রিকার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়েছেন বলে দাবি করেন।

শামীমা খানকে ফাঁসিয়ে দেয়ার প্ল্যান চলছে।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্পাদক শামীমা খান আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়ে নাকি পত্রিকার ব্যানারে ‘লাল-কালো’ রং পরিবর্তন করেন।

গত শনিবার রাতে পত্রিকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে জবরদখল নেয় আন্দোলনরত কর্মীরা।

সম্পাদক শামীমা এ খান দাবি করেছেন, “এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমার সিদ্ধান্তে কোনো কালো রং ছিল না। যারা আন্দোলন করছে, তারাই ব্যানারে রং পরিবর্তন করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে।”

তিনি বলেন, “এটা স্যাবোটাজ। তারা বাইরের লোক এনে জনকণ্ঠ দখল করেছে। আমি এখন অফিসে ঢুকতেও পারছি না। প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *