চট্টগ্রাম: প্রায় ৩৯ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দর তাদের সেবামূল্যের মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রস্তাবিত হারে গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হতে যাচ্ছে। তবে এই বিষয়টি খুব তাৎপর্যপূর্ণ।

ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে বিষয়টি নিয়ে আবারও পর্যালোচনায় বসছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

নতুন মাশুল নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত শেষ মুহূর্তের বৈঠক কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত মাশুল নিয়ে আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রায় ২০টি ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত মাশুল বাড়ালে দেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘অতিরিক্ত মাশুল বাড়ালে দেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বন্দরের প্রকৃতি সেবামূলক এবং লাভজনক নয়, তবু কিছুটা লাভ হচ্ছে। তাই প্রস্তাব দিয়েছেন, যদি মাশুল বাড়ানো হয়, গড়ে ১০ শতাংশের বেশি না বাড়ানো উচিত।’

এইসবের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। বিভিন্ন সেবার বিপরীতে ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে যখন অর্থনীতি চাপের মুখে ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সংকট দেখা দিয়েছে ঠিক তখন ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে দেখা দেবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে।

এতে রপ্তানিকারকরা চাপে আছেন। তার ওপর বন্দর মাশুল ৪১ শতাংশ বাড়ালে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন”।

তিনি আরও বলেন, “রপ্তানিকারকরা দু’দিকেই মাশুল গুনেন। কাঁচামাল আমদানির সময় একবার, আর পণ্য রপ্তানির সময় আবার দিতে হয়। এতে রপ্তানির সক্ষমতা কমে যাবে”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *