ঢাকা: দেশের জনগণ কাকে কতো বছর প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনো পদে কতো দিন বছর রাখবে, সেটা এখন এরাই নির্ধারণ করে দিচ্ছে!

হাস্যকর বিষয়গুলো।

যারা জীবনে কখোনোই ২/৪ভোট পাওয়ার জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর সৎ সাহসটাও করে নাই, উড়ে এসে জুড়ে বসা অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা দখলকারীরা এখন গণতন্ত্রের ছক করে দিচ্ছে!

চলুন দেখি কী বললেন আলী রিয়াজ মহাশয়:

এখন পর্যন্ত মোট ১২টি সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য হওয়ার কথা বলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ঊনবিংশতম দিনের বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় পর্যায়ের অব্যাহত আলোচনায় এ পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাবে সেগুলো নিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করা হবে।

যে ১২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে––

১. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন
২. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব
৩. নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ
৪. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান
৫. উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ
৬. পর্যায়ক্রমে উপজেলায় পর্যায়ে নিম্ন আদালত স্থানান্তর
৭. জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা
৮. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ
৯. নির্বাচন কমিশন গঠন পদ্ধতি
১০. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান সংস্কার
১১. প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের বেশি নয়
১২. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন

আলী রীয়াজ বলেন, “রাষ্ট্রের মূলনীতি বিষয়ে যে আলোচনা, এটি আজকে চতুর্থ দিনের মত ছিল। এই চার দিনের আলোচনায় আমরা দেখেছি, সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে যেসমস্ত প্রস্তাব কমিশনের পক্ষ থেকে সংশোধিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল (সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি), এগুলো কীভাবে সংবিধানে উল্লেখিত হবে তা নিয়ে ঐকমত্যে আসা যাচ্ছে না।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‍্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাবিত রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বরং এটাই আমাদের প্রস্তাব।’

বাংলাদেশ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র ১৯৭২ সালের সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা এই রাষ্ট্রের নৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি।

চার নীতিকে রক্ষা করা মানে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা এবং এই চেতনার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র জাতি কখনোই মেনে নেবে না।

এনসিপি, বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানো, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং সংবিধানকে দুর্বল করে দেওয়া।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *