ঢাকা: বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আসলে জঙ্গী আন্দোলন। এর সুযোগ নিয়ে দেশ কীভাবে অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে তার বলার মতো সৎ সাহস কোনো উপদেষ্টার নেই।
ষড়যন্ত্রের সুযোগ নিয়ে জেল থেকে দাগী দাগী আসামি পালিয়ে গেছে। তাঁদের পালানোতে সাহায্য করা হয়েছে।
এখন কারাগারের কাঠামোগত ক্রুটি’র কথা যতই বলুক অনুসন্ধান কমিটি। আসলে কারাগারের ত্রুটি নয়। ত্রুটি জুলাই আগস্টে।
বাংলাদেশে কারাগারে আটক জঙ্গিদের পালানোর ঠিক শুরুটা হয়েছিল গত বছরের ১৯ জুলাই।
দিনের আলোয় নরসিংদী তো বটেই, সারাদেশকে অবাক করে হঠাৎ জেলা কারাগার চারদিক থেকে ঘিরে ধরে ফেলে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
আন্দোলন তো হচ্ছে কোটার বিরুদ্ধে, জেলে কী? এ তো ছাত্র আন্দোলন, জেলে কী কাজ?
আর ঠিক তখনই ঘটে বাংলাদেশের কারাগারের ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা।
কারাগারে থাকা ৯ জঙ্গিসহ ৮২৪ জন বন্দির সবাই পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, কারাগারের অস্ত্রাগারে থাকা ৮৫টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম লুটে নিয়ে যায় হামলাকারী।
কয়েদি পালিয়ে যাবেই, কারণ কারাগার ঘিরে ফেলে তাদের সেই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
জেলায় জেলায় কারাগারে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর হামলা ও তাদের জিম্মি করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
যাদের মধ্যে অসংখ্য জঙ্গি ও শীর্ষ অপরাধীরাও ছিলো।
এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগে সাধারণ কয়েদিরাও পালাতে থাকে।
কয়েদিদের ছেড়ে দেয়া হয় পরিকল্পনা করে। সারাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের পরিকল্পিতভাবে হয় ছড়িয়ে নেওয়া হয় অথবা ছেড়ে দেওয়া হয়।
দেশের পরিস্থিতি অস্থির করে সবার নজর ঘুরিয়ে দেয়া হয় এবং এই ফাঁকে দাগী আসামিরা পালিয়ে যায়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, পালিয়ে যাওয়া এসব জঙ্গিদের বেশিরভাগের ঠাঁই হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু গোপন আস্তানায়।
আরেকটি অংশ গোপনে অস্ত্র পরিচালনার ট্রেনিং নিচ্ছে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।
এছাড়াও নরসিংদী কারাগারের বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার থেকে লুট হওয়া ভারী অস্ত্র-গোলাবারুদ জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে।
আসলে সব সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে ঐ আন্দোলন থেকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশের ১৭টি কারাগারে ‘বিদ্রোহের’ ঘটনা ঘটে।
এটা তো সাদা চোখে দেখলে ছাত্রদের আন্দোলন, সামান্য কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে। সে জায়গায় কারাগারে তাদের কাজটা কী?
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, সাতক্ষীরা, শেরপুর, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী কারাগার থেকে দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যায়।
এত নিরাপত্তার মধ্যেও ঘটে গেলো ঘটনা! সে জায়গায় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
যে বন্দীরা পালিয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি ছাড়াও বিভিন্ন নিষিদ্ধ ‘জঙ্গি’ সংগঠনের আসামিরাও ছিলো।
কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন গত ১০ মার্চ বলেছিলেন, জেল পালানো সাতশর মত বন্দি এখনও পলাতক, যাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ও জঙ্গি মিলে ৬৯ জন রয়েছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেশের যে কোনো কারাগারের চেয়ে ভালো।
এখানে সবচেয়ে বিপজ্জনক আসামিদের রাখা হয়।
‘বিদ্রোহ পরিস্থিতি’ তৈরি করে ৬ অগাস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দি পালিয়ে যায়।
সব ইচ্ছাকৃত কারবারের মধ্যে কারাগারের নিরাপত্তায় নাকি ত্রুটি পেল অনুসন্ধান কমিটি।