ঢাকা: সফল ভূমিমন্ত্রী ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তাঁকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার তো কম হয়নি।
খোদ প্রেস সচিব আবোলতাবোল কথা বলেছেন! যে কথার কোনো মাথামুন্ডু নেই।
যুগে যুগে ভণ্ড, বেঈমান মুখোশধারী লোকেরা ছিল, আছে এবং থাকবে। এরা প্রমাণ ছাড়া কল্পনা বানিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
পাঁচ আগস্টের পর তারা বলেছিল—“আওয়ামী লীগ শেষ!” কিন্তু যখন দেখলো, আওয়ামী লীগ শেষ হবার নয়, তখন শুরু হলো নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র।
এবং সাথে বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারি।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নেন। আপনারা (সাংবাদিকেরা) খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
তা পদ্মাব্রিজ দিয়ে যে তিনি চলাফেরা করছেন, সেটা কী গোপালগঞ্জে যাবার জন্যে শেখ হাসিনা তৈরি করেছিলেন?
শফিকুল আলম মনে করেন, আরও ১০ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হতো। তখন হয়তো কর্ণফুলীর ওপারে অনেক কিছু হবে।
আজ বুধবার ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম এই সব কথা বলেন।
এইবার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামন চৌধুরী জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুখমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান এই আদেশ দেন।
দুদকের একটি মামলার আসামি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ও তাঁর স্ত্রী রুখমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে আবেদন করা হয়।
আদালত আবেদনের শুনানি শেষে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এই নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলে পাঠানো হবে।
এদিকে বলা হচ্ছে, এই একই দিন ভোরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের গাড়িচালকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাকি ২৩ বস্তা আলামত উদ্ধার করেছে দুদক।
দুদক জানিয়েছে, এগুলো সাবেক এই মন্ত্রীর বিদেশে অর্জিত সম্পদ এবং অর্থ পাচারের তথ্যসংবলিত আলামত।