ঢাকা: সৌদি রাষ্ট্রদূতের দেয়া উপহারের খেজুর, জায়নামায কোলে নিয়ে আদালতে উঠলেন বাংলাদেশের মডেল মেঘনা আলম।
মেঘনা আলম একজন সুপরিচিত বাংলাদেশি অভিনেত্রী এবং ২০২০ সালের মিস আর্থ বাংলাদেশ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রাক্তন বিজয়ী।
মেঘনার গ্রেফতারির ঘটনা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সে সময় অনেকেই ।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন মিস বাংলাদেশ মেঘনা আলমের গল্প, সৌদি কূটনীতিকের সঙ্গে কথিত প্রেমের সম্পর্ক, বিচ্ছেদ, গ্রেফতারির লাইভ স্ট্রিমিং-এর পর জেলে ছিলেন মেঘনা।
একটি ‘প্রেমের গল্প’ যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উত্থান-পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এখন মেঘনা আলম জেলে যান।
বাংলাদেশি মডেল এবং মিস আর্থ ২০২০ মেঘনা আলমকে মহম্মদ ইউনূস সরকার বিশেষ ক্ষমতাবলে ৩০ দিনের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছিলো।
তার সমর্থকদের মতে, কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই তাকে আটক করা হয়।
৩০ বছরের মেঘনার বাবা বদরুল আলম বলেন, ঢাকায় একটি উপসাগরীয় দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে মেঘনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপসাগরীয় সংবাদপত্র খালিজ টাইমসের মতে, মেঘনার বাবা বদরুল আলম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রদূত এবং মেঘনার মধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং আমার মেয়ে তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কারণ তার ইতিমধ্যেই স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে।’
গ্রেফতারির আগে, মেঘনা আলম ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করে অভিযোগ করেছিলেন যে ৯ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা, ডিবি পুলিশ, তাকে গ্রেফতার করার জন্য ঢাকায় তার বাড়িতে প্রবেশ করছে। সেই সময় অনেক ঝামেলা হয়েছিল।
এদিন,রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া মামলায় জব্দ করা মডেল মেঘনা আলমের ম্যাকবুক, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কিনা, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এবং এসব ডিভাইসের মালিকানা যাচাই করে আগামী ৩১ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এই নিয়ে ক্ষিপ্ত মেঘনা আলম।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মেঘনা আলম আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের প্রফেশনাল সম্পর্ক রয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ইশা আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল। তার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমি যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারব আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। তখন বিচারক তার উদ্দেশ্যে বলেন, এখন এটা আলোচনার বিষয় নয়।
এরপর মেঘনা আলম বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আমার ওপর নির্ভর করে। ছয়টি মহাদেশের ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছি। এছাড়াও নারীদের অধিকার বিষয়ে অনেক কাজ করেছি। আমার ব্যবহৃত ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরত চাই।