ঢাকা: সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে একটি মামলায় জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
এবং একইসঙ্গে ২২ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এদিন, সোমবার, ১৬ জুন শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
ভুয়া মামলা আর ষড়যন্ত্রের চরম শিকার চিন্ময় প্রভু।
আসলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা এবং সরকার পক্ষের আইনজীবি সাইফুল ইসলামকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা একই মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।
আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য এর আগে জানিয়েছিলেন, তার মক্কেল চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন৷
অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ” রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার পর চট্টগ্রামের আদালত তাকে (চিন্ময়) জামিন দেয়নি। কোনো আইনজীবীকেই জামিনের জন্য দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। হুমকি দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী হিসাবে তার পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে পারেন এরকম ৮২ জন সংখ্যালঘু আইনজীবীকে বিভিন্ন মামলার আসামি করা হয়েছে।
পরে আমি নিজে আইনজীবীদের নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে জামিনের আবেদন করেও জামিন পাইনি। হাইকোর্ট বুধবার জামিন দিলেও অন্য মামলায় আটকে দেয়া হলো।”
‘চিন্ময়বিরোধীরা’ জামিনের আগেও জামিন না দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। জামিন পাওয়ার পরও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর দাবিতে মিছিলে নামে ষড়যন্ত্রকারীরা।
বাংলাদেশে শুধুমাত্র সনাতনী হবার জন্য চিন্ময় প্রভুকে নির্যাতিত হতে হচ্ছে। যেমন আরো বহু হিন্দুদের হতে হচ্ছে।
আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ” চিন্ময় দাসের ব্যাপারে যা হচ্ছে, নিপীড়নমূলক। কোনো ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও তাকে কারাগারে যেতে হলো।
আবার জামিন পাওয়ার পরও নতুন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো, যে ঘটনার সময় তিনি পুলিশ কাস্টডিতে ছিলেন। এটা তাকে দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখার কৌশল।”