ঢাকা: চামড়ার বাজার খুব খারাপ। ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।
আগেরবারের মতো এবারও কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
প্রতি বর্গফুট গরুর চমড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে গতবারের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কুরবানিদাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাব ও পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় শনিবার দেখা যায়, লবণ ছাড়া বড় ও মাঝারি গরুর কাঁচা চামড়া ৭০০ থেকে সবচেয়ে বেশি ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আর যেগুলো গরুর চামড়া আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট বা মান খারাপ, সেগুলো ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে তো দাম আরও কম।
ঢাকায় চামড়া বিক্রি হয়েছে, ৭০০-৮০০ করে এবং গ্রামে ৩০০-৪০০ করে!
একজন ব্যবসায়ী বলছেন, চোখের সামনে চামড়ার দাম এভাবে পড়ে গেল!২০০৬-১০ সালের দিকে আমরা একেকটি গরুর চামড়া কিনতাম ৩,০০০ টাকায়। তখন বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হতো ৩০০ টাকায়।
চামড়া শিল্পের পতনে হতাশ ব্যবসায়ীরা।
আরেকজন বলছেন, ‘২০-২৫ বছর আগে এক পিস গরুর চামড়ার দাম ছিল ১৫০০-২৫০০ টাকা। গরু বড় হলে সেটা ৩০০০-৩৫০০ ও হতো।
সেই হিসেবে এখন ১ টি চামড়ার দাম ৮-১০ হাজার হওয়ার কথা।
চামড়া নিয়া সিন্ডিকেট হত। হুজুরদের পাশাপাশি এলাকার সিজনাল লোকজনও এই বিজনেস করত।
আমরা সবাই ছোটবেলা এইসব দেখেছি। আর এখন চামড়া কুকুরও খায় না বা নিতে চায় না’।
কোরবানির চামড়ার দাম পড়ে যাওয়ার অনেক কারণও আছে।
সিন্ডিকেট আছে। সংরক্ষণের অভাব আছে। লবণ নেই, সঠিক স্টোরেজ নেই , চামড়া নষ্ট হয়, দাম পড়ে যায়।
সরকারি নজরদারি কম, এটিও একটি কারণ।