রাজবাড়ী: এই বাংলাদেশে এমন পৈশাচিক কর্ম আগে কখনো হয়েছে কী? কী জঘন্য অবস্থায় পৌঁছেছে দেশ। জীবিত মানুষের তো শান্তি নেইই, মৃতের ও শান্তি নেই এই সোনার বাংলায়।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বর্বরোচিত, ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে “নূরাল পাগলা” নামে পরিচিত এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, “ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি” নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাবশালী নেতারা।
পূর্ব পরিকল্পিত হামলাকে “তৌহিদি জনতা”র স্বতঃস্ফূর্ত কাজ বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অনেকে মত দিয়েছেন।
এদিকে জামায়াতের কথা শুনলে আকাশ থেকে পড়তে হয়। এরা নিজেকে যে কত ধোয়া তুলসীপাতা সাজিয়ে রাখবে আল্লাহ জানে!
কথায় আছে না, সারা জীবন পাপ করে সে আবার অন্যের পাপের বিচার করে! জামায়াতের অবস্থা হয়েছে সেটা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানায় জামায়াতে ইসলামী।
এরা বলছে, এমন ঘটনা ইসলাম অনুমোদন করে না। এর মাধ্যমে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঘটনায় শনিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র লাশ কবর থেকে তুলে কথিত ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন পুড়িয়ে দিয়েছে।
নুরুল হক এখন মৃত, তার জীবদ্দশায় যা কিছু করেছেন তার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবেন।”
জুবায়ের বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি আন্দোলন ও দল। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো কর্মকাণ্ড জামায়াতে ইসলামী বরদাশত করে না।
দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে।”