ঢাকা: বৈষম্য দূর করবেন ইউনূস? হায়রে বৈষম্য! আরো বেশি বৈষম্যের সৃষ্টি করেছেন ডক্টর ইউনুস!
এর নাম ইউনুস ম্যাজিক। মুখে বলবে এক কথা, কাজে করবে আরেক! বলবে রোহিঙ্গা যাবে, সব ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে রোহিঙ্গা আসবে।
আরো বলবে- বন্দর বিদেশীদের দিলে পণ্যের দাম কমবে। কিন্তু বাস্তবে- বন্দর বিদেশীদের দিলে পণ্যের দাম বাড়বে।
সবদিকে মাথায় বারি দিচ্ছেন ইউনূস। গত ৩৯ বছর ধরে বন্দরের মাশুল বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু যেই বন্দর বিদেশীদের দেয়ার কথা উঠলো,
ওমনি ইউনুস সরকার বন্দরের মাশুল এক লাফে ৪১ শতাংশ বাড়িয়ে দিলো।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত নতুন মাশুলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে আজ সোমবার থেকে নতুন মাশুল কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে নতুন মাশুলের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কনটেইনার পরিবহনের মাশুল।
এখন থেকে কনটেইনারপ্রতি (২০ ফুট লম্বা) বাড়তি মাশুল দিতে হবে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা। বন্দরের সেবা নেওয়ার জন্য এই মাশুল দিতে হবে বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ব্যবহারকারীদের কোনো আপত্তি আমলে নেয়া হয়নি।
ভোক্তার ওপর চাপ বাড়বে সেটা আগেই বলা হয়েছিলো, রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে। আবার ভবিষ্যতে বন্দরের দুটি টার্মিনাল ছাড়া সব কটিই যাচ্ছে বিদেশিদের হাতে। ফলে মাশুল বাড়ানো হলে তার বড় সুফল পাবে বিদেশি অপারেটররা।
অথচ এই সরকারের ভাষ্য ভিন্ন, ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছে। মাশুল বাড়ানোর পরও নাকি তা আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এই হিসাব করছে, দেখাচ্ছে সরকার।