ভোলা: ভ্যাপসা গরমে একটু দৈ খেলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়।

কর্মব্যস্ত জীবনে গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি খোঁজে। আর সেই স্বস্তি এনে দিতে পারে ভোলার বিখ্যাত বৈষা দধি।

ভোলার বৈষা দধি মূলত আবেগ, ভালোবাসা, শান্তি। মহিষের খাটি দুধের দধি, ভোলা জেলার অতিথি আপ্যায়নে এই দধির গুরুত্ব অপরিসীম।

দেখা যায় দুপুরের আগেই সব দোকানের হাঁড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। মহিষের কাঁচা দুধে পাতানো এই দই ভোলার স্বাদ, ইতিহাস ও গর্বের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ।

ভোলার দোকানগুলোতে প্রতিদিন মণকে মণ বৈষা দধি তৈরি হয়। এই দইয়ের বিশেষত্ব হলো, মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে এটি পাতা হয়।

বাংলাদেশে মহিষের দুধের দই একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে এর কদর বেশি। এটি কেবল খাবার নয়, বরং একটি বাংলার সংস্কৃতির অংশ।

ভোলা জেলার চরাঞ্চল মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয়ভাবে এটি “বৈষা দধি” বা “মইষা দই” নামেই পরিচিত।

আজকে কালকের নয়, সুদীর্ঘ প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস বহনকারী এই দই ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবেও স্বীকৃত।

মহিষের দই বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ — যা স্বাদ, পুষ্টি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন।

ভোলার বৈষা দধির বৈশিষ্ট্য আছে। বাজারে সচরাচর যে দই পাওয়া যায়, সেসব তৈরি হয় গরুর দুধ দিয়ে এবং দুধ জ্বালিয়ে গাঢ় করে।

কিন্তু ভোলার বৈষা দধি হয় মহিষের কাঁচা দুধ দিয়ে।

উৎসব-পার্বণ, বিয়ে থা কিংবা যেকোনো সামাজিক আয়োজনে বৈষা দধি ছাড়া ভোলার কোনো উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না।

দৈ অনেকভাবেই খাওয়া যায়, ভোলার মানুষ তৃপ্তি করে খায়।

বর্তমানে প্রতি কেজি বৈষা দই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *