ঢাকা: বুক ফাটিয়ে কাঁদলেও মনে হয় চোখের পানি শুকাবে কিন্তু আজকের বাংলাদেশের ক্ষত শুকোবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে থামাতে গিয়ে কী ধ্বংসটাই না করছে এরা দেশটার। আজ পাকিস্তানের রাজাকাররা এসে বলে হৃদয় পরিষ্কারের কথা। তাই তো বললাম, বুক ফাটিয়ে কাঁদলেও এই ক্ষত শুকোবে না!

আওয়ামী লীগকে থামাতে কখনো কৃষককে মারতে হয়েছে, কখনো শ্রমিককে, আবার কখনো প্রতিবন্ধী মানুষদেরও আঘাত করতে হয়েছে। এই সরকার আর কী করবে?

এই দেশের অসংখ্য জাতীয় ক্রিকেটার ও ফুটবলারের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে জঙ্গীদের হাতে আওয়ামীলীগ সমর্থক হওয়ার কারণে।

আওয়ামী দমনের নামে দেখে মনে হচ্ছে ক্ষমতার জোরে এরা গোটা রাষ্ট্রকে জেলে পুড়বে। কোথায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময়ও তো বিরোধীরা ছিলো, আওয়ামী লীগ সরকার তো এমন অপদস্থ করেনি!

ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে বর্তমানের রাজনৈতিক দলগুলো— যা ‘নতুন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার পথে অশনি সংকেত তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রবিবার (২৪ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত এক বছরে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ডে দলবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট, মামলা, গ্রেপ্তার ও জামিন বাণিজ্যের মতো দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি আবারও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, মুখে সংস্কারের কথা বললেও মাঠপর্যায়ে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে।
এতে করে ‘নতুন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার যে জনআকাঙ্ক্ষা, তা পদদলিত হচ্ছে।

ক্ষমতাবানদের ‘এবার আমাদের পালা’ ধরনের মানসিকতা সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশের পথে আত্মঘাতী প্রতিরোধ তৈরি করছে।

টিআইবি জানায়, ক্ষমতা-প্রত্যাশী দলগুলোর অনেক নেতাকর্মী আবারও দখলবাজি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে লিপ্ত হয়েছেন।

এখন শুধু রাজনৈতিক কোন্দল নয়, এখন ধর্মভিত্তিক দল ও অতিক্ষমতায়িত গোষ্ঠীর মদদে সংখ্যালঘু, নারী, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার হরণের ঘটনাও ঘটছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *