খুলনা: হত্যার প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন করা হচ্ছে আর লাশগুলোকে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে গাঙ্গের পানিতে। এইতো সুন্দর সোনার বাংলা! যে নদীতে মাছ আর নৌকা ভাসার কথা, সেখানে ভাসে লাশ!

বাংলাদেশের নদীগুলো এখন আর স্রোতের প্রতীক নয় — এখন তারা নীরব সাক্ষী অবৈধ ইউনুস সরকারের হত্যার রাজনীতির। কী ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশের।

প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ভেসে উঠছে অজ্ঞাত মরদেহ। মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেও লাশ ফেলে দেয়া হচ্ছে নদীতে! আর কী হতে বাকি আছে দেশটায়?

বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, মেঘনা, কর্ণফুলী—সব নদী এখন গুমের গোপন কবরস্থান। ইউনূসের জামাতি প্রশাসন মুখ খোলে না। আদালতে বিচার নেই।

নৌ-পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে ৪০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার হয় দেশের নদীগুলো থেকে। বেশিরভাগের পরিচয় অজানা।

খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে হত্যার পর মরদেহ ফেলা হচ্ছে নদীতে। ২১ মাসে মিলেছে ৭০টিরও বেশি মরদেহ।

বলা হচ্ছে , চলতি বছর ৩৭ মরদেহ উদ্ধার হলেও মামলা হয়েছে মাত্র নয়টি। সামাজিক অস্থিরতা ও পুলিশের নজরদারির অভাবকে দায়ী করছে মানবাধিকার কর্মীরা।

মানবাধিকার কর্মীদের লুকিয়ে বহু পৈশাচিক কর্মকাণ্ড চলছে দেশে। নীরবে ঘটে চলেছে কত শত ঘটনা।

খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে প্রায়ই ভেসে উঠছে এইগুলো মরদেহ। নৌ পুলিশের তথ্যমতে, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুরের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে গত বছর ৩৩ মরদেহ উদ্ধার হয়।

যার মধ্যে আগস্টের পরে মিলেছে ১৫ জনের মরদেহ। আর চলতি বছরের প্রথম নয় মাসেই উদ্ধার হয়েছে ৩৭ মরদেহ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *