ময়মনসিংহ: সড়ক দুর্ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে। ময়মনসিংহের দুই উপজেলার সড়কে দুর্ঘটনায় মারা গেলো ১১ জন।
এর মধ্যে ফুলপুরে বাস-মাহেন্দ্রা সংঘর্ষে আটজন এবং তারাকান্দায় অ্যাম্বুল্যান্স- অটোরিকশা সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, গত কয়েকদিন ময়মনসিংহে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা হয়েছে, যেখানে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনা মূলত থ্রি-হুইলার, সিএনজি, মাহিন্দ্রাতে হয়েছে। এই গাড়িগুলো আগে শুধু লোকাল রোডে চলাচল করলেও ইদানিং ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডেও নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
বিষয় হলো, এসব ড্রাইভারের বেশিরভাগেরই কোন লাইসেন্স নেই, অদক্ষ, ড্রাইভিং করার জ্ঞান নেই।
ড্রাইভিং দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও এই গাড়িগুলো বাসের সাথে রাস্তায় পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে!
তবে প্রশাসনের কোনো দৃষ্টি নেই এইদিকে।
ফুলপুর উপজেলায় শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কুরিয়ার ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে এবং তারাকান্দা উপজেলায় বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ রামচন্দ্রপুর এলাকায় হিমালয় ফিলিং স্টেশনের সামনে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে ।
ফুলপুরে নিহত ৮ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- ফরিদ মিয়া (৩৮), জহর আলী (৭০), হাসিনা খাতুন (৫০), শামসুদ্দিন (৬৫) ও রংপুরের আজিম উদ্দিন (৩৫)। তারা সবাই ছিলেন মাহেন্দ্রার যাত্রী।
আর তারাকান্দায় নিহতরা হলেন- জবেদা খাতুন (৮৫), রাকিবুল হাসান (১৫) মোহাম্মদ আলম (৩৫), তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ফুলপুর পৌরসভার কাজিয়াকান্দা ইন্দিরাপাড় বাঁশবাড়ি এলাকায় হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী শ্যামলীবাংলা পরিবহনের যাত্রিবাহী বাসের সাথে একটি মাহিন্দ্রার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এই ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোধালধর এলাকায় এ্যাম্বুলেন্স এবং সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পর ফুলপুরে ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।
তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, বেপরোয়া গতি ও চালকদের অদক্ষতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।