ঢাকা: বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সব নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখন জাতির পিতার গায়ে প্রস্রাব করে!

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শেষ করে সেখানে তৈরী হবে জুলাই- আগষ্টে জঙ্গীদের স্মরণে স্থাপনা। এটাই নতুন বাংলাদেশ।

বিজয় স্মরণীর সেনাবাহিনী-নির্মিত ম্যুরালগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে কারণ সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রয়েছে।

এটাই এখন অপরাধ—মুজিব মানে সমস্যা, মুক্তিযুদ্ধ মানেই জ্বালা! সব দোষ ৭১ এর। ইউনূস এখন সংস্কার করছেন দেশকে।

দুঃখজনক ঘটনা! দুঃখজনক বলা ছাড়া এখন আর কিছুই বলার নেই। কারণ প্রতিবাদ চলছে দেশজুড়ে, আরেকদিকে চলছে ইউনূসের গা জোয়ারি।

ঢাকার বিজয় সরণিতে ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানের দিন ভেঙে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’ এর আশপাশের স্থাপনাও এবার ভেঙে ফেলা হল।

সেই জায়গায় হবে জুলাই জঙ্গীদের স্মরণে ‘গণমিনার’। জুলাই মাসে নতুন ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হবে।

৭১ এর অস্তিত্ব বিলীন করে জঙ্গীর অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকে বিজয় সরণির ওই ভাস্কর্য ঘিরে বানানো ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ এর সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়, এবং তা চলে দিনভর।

জুলাই-অগাস্ট ষড়যন্ত্রের সময় গত বছরের ৫ অগাস্ট ওই প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়।

শুক্রবার রাতে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ খুব হাল্কাভাবে বলেন, ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলায় সেটি ‘অগোছালো’ অবস্থায় ছিল।

এ কারণে ওই স্থানটি ‘পরিষ্কার’ করা হয়েছে। মূল ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেদিনের আক্রমণের কারণে বাকি যেগুলো ছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

এটা এভাবে ফেলে রেখে কোনো লাভ নাই। সেখানে নতুন কিছু যদি করা যায়। সেজন্য আমরা আগে সেখানে জায়গাটা পরিষ্কার করছি।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ভাস্কর্যের জায়গায় বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস, জুলাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন আরেকটা ভাস্কর্য করার পরিকল্পনা আছে।

জুলাই, বিজয়, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস সবগুলোকে মিলিয়েই কিছু একটা হবে। এখানে যেমন স্কাল্পচার ছিল সেমনই আরেকটা স্কাল্পচার হবে। আমরা এই জুলাই মাসের মধ্যেই কাজটা করব।

কারণ পরিষ্কার করে ফেলে রাখলে লোকজন আবার বলবে, ফেলে রেখে দিয়েছে। মানুষজন রাস্তা দিয়ে আসে যায়, তাদেরও প্রশ্ন এখানে কী হবে তাহলে।

বিষয়টা কত স্বাভাবিক তাঁর কাছে, অথচ গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের মান কোথায় নেমে গেলো! ধিক্কার জানাচ্ছে সচেতন জনগণ।

দেয়াল ভেঙে কি ইতিহাস মুছে ফেলা যায় ?

ঢাকার বিজয় স্মরণীতে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্নসহ বাঙালির বিজয় গাঁথা স্মৃতিস্তম্ভটি আমাদের জাতীয় গৌরব ছিলো।

এটি শুধু একটি ভাস্কর্য ধ্বংস নয়—এটি একটি জাতির ইতিহাসে, আত্মমর্যাদায়, চেতনায় নগ্ন আঘাত।

ইতিহাসের গায়ে আঘাত করে ইউনূস যে নিজে কতবড় জঙ্গী সেটা প্রমাণ করছেন – এই কথাই বলছেন নেট নাগরিকরা।

কোন আইন, কোন যুক্তিতে এই জাতীয় সম্পদকে বিনাশ করা হলো?

কোথায় ছিল সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়, কোথায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়?

আসলে ওরা মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতি ধ্বংস করতে চায়। ওরা বাংলাদেশকে অস্বীকার করে, ওরা চায় পাকিস্তানে ফিরে যেতে!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *