ঢাকা: চাঁদাবাজি রমরমিয়ে চলছে দেশে। এই বাংলাদেশে সেনা গ্রেপ্তার হয় কিন্তু চাঁদাবাজ, মবকারী, খুনী গ্রেপ্তার হয় না! সবই ইউনূসের ম্যাজিক।
বড় বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করা হচ্ছে। চাঁদার দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন গাড়ির শোরুমের সামনে একের পর ককটেল নিক্ষেপ ও ফোনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
গত ছয় মাসে অন্তত ৪০ গাড়ি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে ফোন করা হয়েছে। চরম ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
চাঁদা না দিলে তাদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করার হুমকি দিয়েছে এই সন্ত্রাসী চক্র।
রাজধানীর রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা এখন চাঁদাবাজদের ত্রাসের মুখে দিন যাপন করছে। এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে চারদিকে।
এই চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই), সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে ‘মাফিয়া স্টাইলে’ দেশে এই কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্যমতে, গত ছয় মাসে অন্তত ৪০ জন গাড়ি ব্যবসায়ীকে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১২টি শোরুমের সামনে একই কায়দায় হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ সংঘটিত করা হয়েছে।
যে ব্যবসায়ীদের হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে, তাঁরা জানিয়েছেন, পাঁচ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে ছেলেমেয়েরা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে, সেই তথ্য জানিয়ে অপহরণের হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এইভাবে ব্লেকমেইল করে টাকা আদায় করতে চাইছে এরা।
গাড়ির শোরুমে চাঁদার প্রতিবাদে রবিবার রাস্তায় নেমে প্রতিকার চেয়েছেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা।
দেখা গেছে, ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনের পর বিদেশ থেকে ফোন করে চাঁদাবাজ চক্র তাদের আবার শাসিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ব্যবসায়ী ভাটারা থানায় জিডি করেছেন।
যাদের টার্গেট করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশের শোরুম রাজধানীর প্রগতি সরণি, বারিধারা ও আশপাশের এলাকাগুলোতে।
চাঁদার দাবিতে যেসব শোরুমে হামলা ও হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে – কার সিলেকশন, বেগ অটো (সর্বশেষ ১৫ অক্টোবর বারিধারায় বিস্ফোরণ), টারবো অটো, হ্যালো কারস, বিসমিল্লাহ কারস, ওশান মোটরস, এলএনবি কার, বিশ্বাস ইম্পোটার্স এবং ওয়ালি কার।
এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
