ঢাকা: একে একে নিভিছে দেউটি! অবৈধ ইউনুস সরকারের ব্যর্থতায় বন্ধ হয়ে গেলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেডিকেল শিক্ষাপীঠ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

বাংলাদেশে আরো একটা কিছুর আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (DMC) এর সব একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে!

কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? এমন সিদ্ধান্ত তো আসার কথা ছিলো‌না?

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, ছাত্র আন্দোলন এবং নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে বিষয়টাকে এত সহজভাবে নেয়া যায় না।

২০২৪ সালের জুলাইয়ের মতোই, যখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছিল, এবারও প্রতিবাদ ও সহিংসতার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ।

২১ জুন, ২০২৫-এ জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকের পর এই ঘোষণা করা হয়।

এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আগামিকাল ২২ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে, MBBS পরীক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।

তবে প্রশাসন কাকে এত ভয় পাচ্ছে যার জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হলো? তাদের জন্য, সরকারের জন্য দেশের মানুষ কেন ভোগ করবে?

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে অরাজকতা শুরু হয়েছে।

ছাত্র আন্দোলন কোন জঙ্গী আন্দোলনে পৌঁছালো তা আমরা দেখেছি জুলাই আগস্টে।

এবার আবাসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হলো।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এক নির্দেশিকায় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম জানিয়েছেন, রবিবার (২২ জুন) থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই নির্দেশের বাইরে রয়েছে।

অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলম বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা দ্রুত হোস্টেল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

এরমধ্যে কলেজের পুরনো একটি ছাত্রাবাস বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রক।

তবে সেখানে কয়েকজন ছাত্র এখনও থাকছেন। তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও সেখানে থাকছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার জন্য আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মিলন চত্বরে বিক্ষোভ হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *