ঢাকা: অর্থনীতিবিদ ও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অধ্যাপনা করতেন তিনি।

সংখ্যালঘু, প্রধানত হিন্দুদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব ছিলেন আবুল।

পরিবর্তনের বাংলাদেশে ৩০ বছরের মধ্যে কোনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধেও বারবার মুখ খুলেছেন। আর এমন ভিন্নমতের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে এই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে।

তারা বলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে, দেশের একজন প্রবীণ নাগরিককে মধ্যরাতে কোনোরকম গ্রফেতারি পরোয়ানা ছাড়াই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

যা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। বর্তমান দখলদার সরকার ইতিপূর্বে আরও অনেক সম্মানীয় নাগরিক, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষকে একইভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।

এর সর্বশেষ শিকার অধ্যাপক বারাকাত। অধ্যাপক বারাকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বা অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যানই নন, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং একজন উঁচুমাপের গবেষক।

যার গবেষণায় বাংলাদেশের প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রাধান্য পেয়েছে এবং উপকৃত হয়েছে।

একইসাথে তাঁর গবেষণায় দেশে মৌলবাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। যে মুখোশধারীরা বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী।

এই দখলকারীদের বদ-স্বার্থে আঘাত করে দেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে উন্নীত করতে অধ্যাপক বারাকাত নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এবং জীবনভর গবেষণায় ব্যাপৃত থেকেছেন।

দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত এই গবেষকের পরিণতি হয়েছে আজকে কারাবরণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *