ঢাকা: বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব সঙ্গীন। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক কোনোদিক থেকেই বাংলাদেশ ভালো নেই।

সুন্দর পরিপাটি একটা দেশকে লোভের বশে একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।

এখন শুরু করেছেন নির্বাচনের পাঁয়তারা।

এবার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ডঃ ইউনূস প্রশাসনকে আইসিসিতে পাঠানো হবে।

স্টিভেন পাওলস কেসি এবং ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবীরা আইসিসি সংবিধির ১৫ নম্বর ধারার অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (“আইসিসি”) কাছে একটি যোগাযোগ প্রস্তুত করার জন্য নিযুক্ত হয়েছেন।

১৫ নম্বর ধারায় আইসিসির এখতিয়ারের মধ্যে অভিযুক্ত অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের আইসিসির প্রসিকিউটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং তদন্তের দাবি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ৮ আগস্ট ২০২৪ ডঃ ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা, সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সাথে সহিংস আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ভুয়া মামলা দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেরে ফেলা হচ্ছে।

ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট।

তারপর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ভুয়া মামলা, রাহাজানি, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার ঘটনা।

ইউনূস ও তার দেশবিরোধী দোসররা ‘মেটিক্যুলাস ডিজাইন’ এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে।

এরপর থেকে দেশব্যাপী জনগণের উপর নেমে আসে অত্যাচার, নির্মম-নিষ্ঠুর-বিভীষিকাময় এক আঁধার।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে, মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত! গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লুপ্ত! নারীর প্রতি ভয়াবহ সহিংসতা-নির্যাতন-ধর্ষণ চলছে!

দেশের প্রান্তে প্রান্তে লাগামহীন মবসন্ত্রাস, গণডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি চলে! সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীর উন্মাদনা গোটা জাতিকে শঙ্কিত করে তুলেছে!

একাত্তরের চেতনা আজ ভূলুন্ঠিত।

খুন ও খুনের চেষ্টার মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬৬ জন সাংবাদিককে৷ তাদের মধ্যে ১৩ জন আছেন কারাগারে৷

এছাড়াও ধর্মীয় উস্কানি, প্রতিহিংসা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আঘাত, পৈশাচিক নির্যাতন, মন্দির ধ্বংস সব ধ্বংসাত্মক কাজগুলো হয়েছে। অথচ ইউনূস, প্রশাসন ছিলো নীরব।

এত বড় বড় ঘটনা ঘটানো হচ্ছে , অথচ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

অনুচ্ছেদ ১৫-এর যোগাযোগ বাংলাদেশে এই নৃশংসতার শিকার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হবে।

এবং যে আক্রমণ গুলো হয়েছে সব পরিকল্পিতভাবে। আইসিসি সংবিধির ৭ অনুচ্ছেদের অধীনে হত্যা, নিপীড়ন, কারাদণ্ড , স্বাধীনতার গুরুতর বঞ্চনার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।

স্টিভেন পাওলস কেসি বলেছেন: “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এবং যদি আইসিসির এখতিয়ারের মধ্যে অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব দেশে ন্যায়বিচার পেতে না পারেন, তাহলে এই অপরাধগুলি আইসিসির নজরে আনা গুরুত্বপূর্ণ যাতে একটি জোরালো এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করা যায়।”

এই মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জেগেছে বাংলাদেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *