গাইবান্ধা: এই না হলে বাংলাদেশ! সনাতনীদের প্রতিমা ভাঙচুর না হলে শারদ শুভেচ্ছা দেয়া হবে কী করে? বাংলাদেশ বলা হবে কীভাবে যদি দুর্গা, কালি ভাঙা না হয়?
গাইবান্ধায় সনাতনীদের নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমায় আগুন, এটাই অন্তবর্তী সরকারের শারদ শুভেচ্ছা ও অভিবাদন!
বাংলাদেশের সনাতনীরা প্রতিবছরই এই বিশেষ শুভেচ্ছা পায়! কীভাবে? প্রতিমা ভাঙচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এবছর সরকার যেন বাড়তি আন্তরিকতা দেখাল, মহালয়ার আগেই হিন্দুদের জন্য পাঠালো “বিশেষ শুভেচ্ছা”।
ইউনূস হয়তো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসবেন দুর্গা পূজায়, হাসিমাখা মুখে শারদীয় অভিবাদন জানাবেন সবাইকে।
এবং সান্ত্বনা দেবেন এই বাংলাদেশে সনাতনীদের কোনো ভয় নেই। সরকার আছে। এই তো হয়ে আসছে!
সনাতনীরাই বোঝে কে কার কত আপন!
ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নির্বাক মুখে বলবেন ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। আর বাস্তবে প্রতিমার সামনে জ্বলে উঠবে আগুন, ভস্মে পরিণত হবে সনাতনীদের দেবী।
মৌলবাদীদের আগুনে শুধু মূর্তি পুড়ে না, পুড়ে যায় কোটি সনাতনীর বিশ্বাস, আনন্দ আর নিরাপত্তার অনুভূতি।
এই দেশ যে সনাতনীদের না আর কতভাবে বোঝানো হবে?
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার হামিন্দপুর (কামারপাড়া) এলাকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তৈরি করা প্রতিমায় আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশসহ প্রতিমার বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে হামিন্দপুর সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। ঘটনা ঘটায় হিন্দু ধর্ম বিরোধী পিশাচরা।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর আগেই প্রতিমাগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।