ঢাকা: এ কী আসলেই নির্বাচন কমিশন? নির্বাচন কমিশন কার হয়ে কাজ করছে? এরা আবার সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার করে! ভোট চুরির সুবিধা করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন খোদ।

অবশ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তো বলেই দিয়েছেন, ডাকসু হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের রোল মডেল। তা ফলাফল কী হবে, নির্বাচন কেমন হবে তা তো রোল মডেল থেকেই বোঝা গেলো!

সেখানে আর ক্যামেরার দরকার কী? নির্বাচন অনুষ্ঠিত করারই বা দরকার কী? সরাসরি ঘোষণা করে দিলেই হয়!

ইসির নাকি কিছুই করণীয় নেই। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের ইচ্ছে থাকলেও সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ক্যামেরার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘করণীয় কিছু নেই’ বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ইসি।

কেন ইসিকে কে বাধা দিচ্ছে ক্যামেরা বসাতে? ইসি স্বতন্ত্র না হয়ে কার কথায় উঠবস করছে?

জানা গেল, ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলামের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ইসির করণীয় জানতে চিঠি দিয়েছিল।

ইসি সেই চিঠির জবাবে বলেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন লজিস্টিক্যাল ইস্যু ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক সভার কার্যবিবরণীর আলোচ্যসূচি ৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন হতে ‘করণীয় কিছু নেই’ মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।

গত ৯ জুলাই নির্বাচন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভায় সরকারপ্রধান একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য করণীয় অনুসন্ধান, ভোটকেন্দ্রকে সিসিটিভির আওতায় আনা।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সিসি ক্যামেরা নিয়ে তার কমিশন ভাবছে না। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ও পুলিশকে বডি ক্যামেরা দেওয়ার কথা বলেছেন।

গত ৭ আগস্ট এই নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহারকেও যৌক্তিক মনে করছে না ইসি।

তিনি বলেন, ‘সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। চাইলেই তো হবে না। এটা নিয়ে অলরেডি আমরা তিন-চারটা মিটিং করেছি। একদিনের জন্য আউটসোর্স করেও পাওয়া যায় না ভাড়াতে। আবার কেনাও যৌক্তিক নয়।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *