চট্টগ্রাম: আজ রথযাত্রা। কিন্তু সেই আনন্দ মুহূর্তে বদলে গেলো বিষাদে।

রথের দিন মহাপ্রভু জগন্নাথ, ভাই বলরাম, বোন সুভদ্রা রথে চড়ে মাসির বাড়ি গুন্ডিচায় যান। সেই যাত্রাকেই বলা হয় রথযাত্রা।

যখন দেবতারা সাতদিন পরে আবার ফিরে আসেন। সেই ফিরতি যাত্রাকে উল্টো রথ বলা হয়।

দেবতারা যে রথে ভ্রমণ করেন সেই রথ নিম কাঠের তৈরি হয়। রথ তৈরি করার সময় কোনও পেরেক, কাটার ব্যবহার করা হয় না।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রায় ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- উজ্জ্বল দেব (৪৬), সুজন দত্ত (৪০), সৌরভ শীল (১৩), দ্বীপ (১৩), অপূর্ব মজুমদার (১২) ও পলাশ দে (২৪)। বাকি দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আনন্দ করে যাচ্ছিলেন তারা, অথচ মুহূর্তে পরিবেশ বদলে গেলো।

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বরকল শ্রী শ্রী রাধা মাধব জুলন মন্দির থেকে রথযাত্রা পাঠানদন্ডী মাহাজন ঘাটা যাওয়ার পথে সুচিয়া সাথী ক্লাবের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

যারা প্রত্যক্ষদর্শী তাঁরা জানান, রথের উপরের একটি অংশ পাকা রাস্তায় ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে আসে। এতে রথে ও রথের পাশে থাকা অন্তত ৮ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন।

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে রথযাত্রায় এমন ঘটনা প্রতিবছর ঘটে। এর কারণ অজ্ঞতা।

রথযাত্রায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে রথের চূড়াগুলো সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সিস্টেমে রাখা হয়। এগুলো তৈরি হয় স্টিল, পিতল, অথবা লৌহ জাতীয় পদার্থ দিয়ে।

রাস্তা দিয়ে রথ যাবার সময় চূড়া তারের সংস্পর্শে আসে। আগেভাগে প্রশাসন থেকেও কোনো সতর্ক বার্তা দেয়া হয় না।

আর এই ধরনের রথের চূড়া বৈদ্যুতিক তারের এক দুফুট নিচে দিয়ে গেলেও বৈদ্যুতিক সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়।

এই চূড়া কাঠের করা উচিৎ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *