রংপুর: একের পর এক সংকট।অ্যানথ্রাক্স রোগী ধরা পড়ছে দেশে।
রংপুরের পীরগাছার পর মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞরা জেলার পীরগাছার আটজন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছেন।
অ্যানথ্রাক্স রোগ কী?
অ্যানথ্রাক্স হলো ‘ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস’ (Bacillus anthracis) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ।
এটি সাধারণত গবাদিপশু যেমন—গরু, ছাগল, ভেড়া এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীকে আক্রমণ করে। তবে, এই সংক্রামক রোগটি প্রাণী থেকে মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে।
ত্বকের সংস্পর্শে, দূষিত খাবার ও শ্বাসের মাধ্যমে এই রোগ মানব দেহে ছড়ায়। পশু থেকে মানবদেহে এই রোগ ছড়ালেও মানুষ থেকে মানুষে আবার ছড়ায় না। এই রোগ তেমন ভয়ংকর নয় কিন্তু প্রথমেই চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু হতে পারে।
মানুষের শরীরে যদি এই রোগ হয় তবে এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চামড়ায় ঘা সৃষ্টি হওয়া। এ জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগকে গরু-ছাগলের প্রতিষেধক টিকা কাযক্রম জোরদার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এই সংকট অবস্থায় অসুস্থ গবাদিপশু জবাই ও অসুস্থ প্রাণীর মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে।
অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে পীরগাছার দুজনের মৃত্যু নিয়ে তানভীর হাসনাত রবিন বলেছেন, মারা যাওয়া দুজনের মেডিকেল রিপোর্ট তাঁরা (আইইডিসিআর) দেখেছেন। এই দুটি মৃত্যু অ্যানথ্রাক্সের কারণে নয়। তবে দুইজনের শরীরেই অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ছিল।