ঢাকা: নির্বাচন কমিশন স্বাধীন বলা হয়ে থাকে মুখে।
কিন্তু বর্তমান ইউনুস সরকারের আমলে তারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামাত ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির ও ইউনুস সমর্থিত এখনো অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জঙ্গী টোকাই দল এনসিপি’ র হুমকি- ধমকি’ র মধ্যে রয়েছে।
সরকার যা বলবে বা বলছে তাই করছে নির্বাচন কমিশন। ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হয়েছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিকে।
অদ্ভুতভাবে নিবন্ধন প্রত্যাশী নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক কমিটি-এনসিপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেও তা ‘ইতিবাচক’ বিবেচনায় নিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
ক্ষতি হয় হোক, কিন্তু সমালোচনা করা যাবে না, কড়া হওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার গোলাম হয়ে গেছেন এখন। টোকাইদের হুমকিকে আশীর্বাদ করে মাথায় নিয়েছেন।
এবং তাকে অনুপ্রেরণা মনে করে এগিয়ে যাবার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন।
সামলোচনা ও সতর্কবার্তাকে সঙ্গী করেই ‘স্বচ্ছ ভোটের আয়োজন লক্ষ্য’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেছেন, ইসির ভুল ত্রুটি নজরে এলে সেটি ‘অ্যাড্রেস’ করবেন তারা।
টোকাইরা গুরু, আর এই প্রতিষ্ঠানকে মনে হচ্ছে শিষ্য।
গুরুর আদেশ শিরোধার্য করে চলবেন তাঁরা।
দেখা গেছে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী রবিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে আখ্যায়িত করেন।
ইসির বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতের’ অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “দিন দিন দেখতে পাচ্ছি ইসির অধিকাংশ অঙ্গ জুড়ে সামরিক উর্দি পরা পোশাক এবং বাকি যতটুকু যারা আছে তারা দলীয় পোশাকে আবৃত। এখনও ইসিকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।”
তবে নির্বাচন কমিশন কেন্নো হয়ে গেছে। মেরুদণ্ডহীন বললেও কিছু যায় আসে না।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “নিরপেক্ষ স্বচ্ছ একটা ভালো নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন খুঁটিনাটি সব কিছু নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।”