ঢাকা: ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন। এই কথা ঘোষণা করেছেন স্বয়ং মুহাম্মদ ইউনূস।

আর সিইসি বলছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এত শীঘ্র নয়। কী বুঝলেন? নির্বাচন নিয়ে দেশে ষড়যন্ত্র চলছে। কী করবে না করবে, কী বলবে না বলবে দিশা হারিয়েছেন মহাজন।

তফসিল ঘোষণা মানেই নির্বাচনের ঢামাডোল শুরু!

বিশ্লেষকদের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।

রাজনৈতিক ঘোর প্যাঁচ লেগেছে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণায় বিএনপি সন্তুষ্ট হলেও জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ( আইএবি),এনসিপিসহ বিভিন্ন ইসলামী ও নন ইসলামী দলগুলো অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ।

বর্তমানে দেশে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। এক একটা খুন, মব করে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।

সারা দেশে নজিরবিহীন চাঁদাবাজি, দখলবাজি, খুন ধর্ষণের উৎসব চলছে।এমন পরিস্থিতিতে দেশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে গেলে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও সংঘাতময়।

নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি না হলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কট করার সম্ভাবনা প্রবল। রাজপথে স্লোগান উঠতে পারে, নো পিআর, নো ইলেকশন।

সব ইলেকশন পিছিয়ে নেয়ার বাহানা চলছে।

আর নির্বাচন কমিশন যতই দাবি করুক তারা নিরপেক্ষ আসলে তা নয় সেটা তাদের কর্মকাণ্ডেই প্রমাণিত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ এই ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছে। তাদের আবার ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা বড় কাজ হবে।

তিনি জানান, শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ‘তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে ভোটের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে’।

নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইসি কোনো দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে কাজ করব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ইসি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *