ঢাকা: যে শাসকের আমলে কবরে লাশ নিরাপদ নয়, সেই শাসক ২০ কোটি মানুষের ভার নেওয়ার সাহস করলেন কিভাবে!
হায়রে বাংলাদেশ! মুসলমান মুসলমানের চামড়া খুবলে খাচ্ছে। মুসলমান মুসলমানের লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলছে! এ কোন বাংলাদেশ মা?
যে সেনাবাহিনী প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে জনগণের আস্থা রাখার জন্য আহ্বান জানালেন, প্রতিটি মানুষের জীবনের ও মালের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব নিলেন, সেই সেনাবাহিনী মেজিস্ট্রেট ক্ষমতা পেয়েও দেশের উগ্র শ্রেণীর মানুষদের ঠিক করতে পারে না, মানুষ মরে যাওয়ার পরও নিরাপত্তা পায়না,
সেই সেনা প্রধান এখনো আছেন কিভাবে!
রাষ্ট্রীয় টাকায় ইউনূস আরাম আয়েশ করবেন আর দেশে দেশে ভ্রমণ করে বেড়াবেন ভালো কথা, জীবিত না পারেন মরা লাশের নিরাপত্তা টুকু অন্তত নিশ্চিত করতে পারতেন! জন্মের পর এমন নিরীহ ও নির্লজ্জ শাসকশ্রেণী জনগণ দেখেছে বলে মনে হয় না!
কী অদ্ভুত! কী জঘন্য! কী পৈশাচিক! এদের কাণ্ড কীর্তি দেখে সারা বিশ্ব হাসছে, এদের কোনোদিকে দৃষ্টি নেই। এরা লাশ উঠাতে ব্যস্ত!
আর কিছুদিন পর বাংলাদেশে কবরে শায়িত সকল লাশ পালিয়ে যাবে । মৃত লাশও এখন বাংলাদেশে নিরাপদ নয় । লাশগুলো এখন আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছে; আত্মা নিয়ে নিলে, দেহটা নিলে না কেন?
শেষ বিচারের দায়িত্ব যারা দুনিয়াতেই নিয়ে নিল, তাদের বিচার করবে কে? দেশ থেকে আদব কায়দা সভ্যতা মানবতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। বর্বরতা এখন স্বীকৃত বিষয়। যেন কিছুই হয়নি আমরা এমনই ছিলাম, এমন ভাব করে আছেন নোবেলজয়ী!
অসভ্য মূর্খরা শক্তিশালী হলে দুর্বলকে আঘাত দিয়ে অস্তিত্ব জানান দিতে চায় । সারা পৃথিবী দেখছে বাংলাদেশ কত অসভ্য বর্বর । কত নির্মম নৃশংস এদেশের জনগণ । আর কত রক্ত ঝরলে থামবে এই বর্বর উন্মাদনা ।
কোথায় যাচ্ছি আমরা? আর বেশি দিন মনে হয় লাগবে না, বাংলাদেশের মানুষকে শ্রমিক ভিসায় আফ্রিকানরাও ভিসা দিবে না ।
আহারে! কষ্ট হয়!
ইউনূসের দুঃসাশনে দেশ আজ নরকে পরিনত হয়েছে।
গোয়ালন্দে কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলা: মানবতার লুণ্ঠন ছাড়া আর কী?
শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বর এলাকায় ধর্মপ্রাণ জনতা নুরাল পাগলের আস্থানায় হামলা করে।
উত্তেজিত সন্ত্রাসী জনতা কবর থেকে লাশ তুলে মাঠে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারা বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটও চালায়।
জনতা মরদেহ নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মিছিল করে এবং পদ্মার মোড়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে লাশ পুড়িয়ে দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ধরনের নৃশংসতা কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, এটি আমাদের সমাজে ধর্মীয় উগ্রতার ভয়াবহ প্রতিফলন।