কক্সবাজার: পিটার হাস গেলেন, পরদিনই উচ্ছেদ! ইউনূসের ষড়যন্ত্র সব প্রকাশ্যে।
রোহিঙ্গারা যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, সেখানে কক্সবাজারবাসীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ কাদের স্বার্থে? মার্কিন স্বার্থে?
কক্সবাজারে ষড়যন্ত্র করে স্থানীয়দের জায়গা দখল ও তাদেরকে উচ্ছেদ এর প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ে তুলে কক্সবাজার বাসী। এবং সবাইকে কক্সবাজার বাসীর পাশে দাঁড়াবার জন্য আহ্বান জানায়।
তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা।টেকনাফ, কক্সবাজার, মহেশখালী আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। তবে বাংলার জনগণ বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে আজ।
উত্তাল হয়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। স্লোগান উঠেছে, আমার মাটি আমার মা, আমেরিকার হবে না।
কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে পিটার হাসের ভূমিকা কী? তাঁর কেন এত আসা যাওয়া? কোনো কারণ ছাড়াই?
কেনইবা আগস্টে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, আর পরে ইউনুসের চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছিল?
সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি কক্সবাজারও কি দিয়ে দেওয়ার কোনো গোপন চুক্তি হয়ে গেছে?
এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর আজও মেলেনি। অতঃপর প্রতিবাদে মাঠে নেমে পড়েছে কক্সবাজারের মানুষ।
দেশ বিক্রি করে নিজের দেশের জনগণকে উচ্ছেদ করছেন ইউনুস। কিন্তু জনগণ বলেছে দেশ আবার স্বাধীন করবে অপশক্তি হাত থেকে। পুরোনো শকুনের দিন শেষ। জনগণ তার মালিকানা ফিরে পাবে দ্রুতই।
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরে শুক্রবার সকালে—নুনিয়ারছড়া ও নতুন বাহারছড়া অংশে কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা ছিল বিআইডব্লিউটিএ ও প্রশাসনের।
এ জন্য বুলডোজারও নিয়ে ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা এগিয়ে গেলেও খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি।
প্রতিবাদে ফেটে পড়ে জনগণ।
এর আগেই শুক্রবার সকাল থেকে শহরের প্রধান সড়ক ও বিমানবন্দর সড়কে নেমে আসে শত শত স্থানীয় জনতা। শুরু হয় বিক্ষোভ; ৪ রাস্তার মোড়ে দেওয়া হয় ব্যারিকেড, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় টায়ার। গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সড়কে ঠেলাগাড়ি ফেলে বাঁধা তৈরি করা হয়।
জনগণ রোষে ইউনূসের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। জনতাকে কোনোভাবে সরানো সম্ভব হয়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই উচ্ছেদ অভিযান অবৈধ। তারা খতিয়ানভুক্ত জমিতে খাজনা দিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। তাদের ভাষ্য, “প্রাণ দেব, তবু উচ্ছেদ হতে দেব না।”
এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানের কর্মীরা যানবাহনসহ আটকা পড়েন।
লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, “উচ্ছেদ কার্যক্রম নিয়ে পুরো কক্সবাজারবাসী আতঙ্কিত। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা ভেবে দেখা দরকার। এখানে যাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তাদের অনেকেরই খতিয়ান ও খাজনা প্রদানের কাগজপত্র রয়েছে। এসব পর্যালোচনা করে প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে রাখার কোনো অর্থ হয় না।”