ঢাকা: আগস্ট মাস বাংলাদেশের ইতিহাসে শোক, বেদনা, আত্মদহন এবং চরম আত্মত্যাগের মাস। এই মাসেই বাঙালি জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, তার অভিভাবক, তার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
আর এই মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুরু হলো বিচার! কে কার বিচার করে? রাজাকার করে প্রধানমন্ত্রীর বিচার!? হায়রে বাংলাদেশ!
জুলাই আগস্টের ষড়যন্ত্র এবং ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হিসেবে নিরীহ ছাত্র ,সাধারণ নাগরিকদের হত্যাকান্ডের হাজার হাজার ভিডিও রাজসাক্ষী হিসেবে প্রস্তুত আছে।
রাজসাক্ষীর নাটক করে আর কী হবে?
ড. ইউনুস নেতৃত্বাধীন কথিত সরকার যেভাবে জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকীকেও অগ্রাহ্য করছে, তা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক কিংবা স্বাধীন রাষ্ট্রে কল্পনাও করা যায় না।
দোষ নিজেরা করে দোষী করা হলো শেখ হাসিনাকে, আওয়ামী লীগকে।
ভুয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে সকালে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাষ্ট্রপক্ষের তরফে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
শেখ হাসিনার পক্ষে আছেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
আজকের বিচারিক কার্যক্রমের সময় এই মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কাঠগড়ায় হাজির রয়েছেন।
জোর করে ধরে আনা, সাজানো রাজসাক্ষী!