ঢাকা: একটি বিষয় একদম পরিষ্কার, শেখ হাসিনাকে যেনতেন, অবৈধভাবে ফাঁসিয়ে তাঁকে শাস্তি দেয়ার পাকা ব্যবস্থা চলছে।
যেহেতু শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্র নেই, এবং তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার কোনো প্রমাণ নেই। ফলে প্রোপাগাণ্ডা করে একজন আসামিকে বানিয়ে নেয়া হলো রাজসাক্ষী।
এখানে গিভ এন্ড টেক জিনিসটি ঘটেছে এমনকি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেও রাজ সাক্ষী হতে বাধ্য করেছে।
তখন তিনি আর আসামি থাকবেন না। সাক্ষী হয়ে যাবেন।
সরকারি আইনজীবীর ভাষ্যই আপনারা শুনে নেন, ৩-নম্বর আসামি থেকে সাক্ষী হয়ে গেলে তিনি বলেন আর আসামি থাকবেনা তখন সাক্ষী হিসেবে মামলায় থাকবেন, এ বে-কাসুর খালাস দেয়া হবে।
পুরো মগের মুল্লুক চলছে।
একজন ব্যক্তি দুই মিনিট আগে আসামি ছিলেন, দুই মিনিট পর হয়ে গেলেন রাজসাক্ষী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এমনই চমক দিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এমনকি আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে নিজের একসময়ের কর্তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক এই আইজিপি কী ক্ষমা পাবেন; এমন প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনে। তবে মাফ করা না করা আদালতের এখতিয়ার বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এবং চমক দেন সাবেক এই পুলিশপ্রধান।
রাজসাক্ষী হতে চাওয়া সাবেক এই আইজিপির আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
একইসঙ্গে আসামি নন, রাজসাক্ষী হয়েই কারাগারে মামুন থাকবেন বলে জানান ট্রাইব্যুনাল।
মুহূর্তে পাল্টে যায় গোটা দৃশ্যপট। এমনকি তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলেন শেখ হাসিনা।
রাজসাক্ষী কাকে বলে
সাধারণত রাজসাক্ষী হন একজন আসামি। যিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। একইসঙ্গে বাকি অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য তথ্য তুলে ধরেন; যেন শাস্তি নিশ্চিত করা যায়। এ ছাড়া, রাজসাক্ষী মানে হলো রাজ্যের সাক্ষী। কারণ এ আইন প্রণয়নের সময় ‘রাজ্য প্রথা’ ছিল। তাই ‘রাজসাক্ষী’ বলা হতো। তবে বর্তমানে রাষ্ট্রের সাক্ষী বলা হয়।