ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ উপদেষ্টামণ্ডলীর নাটক দেখতে দেখতে দেশবাসী ক্লান্ত। আর কত!?
আগুন নিজেরা লাগিয়ে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়ার জন্য এই মেটিকুলাস ডিজাইনের আগুন দিয়ে এখন কতরকম অজুহাত তাঁদের!
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান ট্রাজেডি, এয়ারপোর্টে আগুন এগুলো সবই মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ। নতুন বিমান কিনে কমিশন বাণিজ্য, এয়ারপোর্ট বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার পায়তারা!
মেটিকুলাস ডিজাইনে উদ্দেশ্য, রূপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ার সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেশকে পঙ্গু করা।
বিমানবন্দর কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে একের পর এক আগুন কোনো নিরীহ ঘটনা না। সব মেটিকুলাস ডিজাইন।
বিমান বন্দর ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের অবহেলায় ধ্বংস হয়েছে বন্দরের কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
শুরুতে আগুন ছিল খুব সামান্য, বন্দরের ৩টি ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত ছিল কিন্তু তারা কাজ করেনি।
তাদের বক্তব্য, বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। আগুন লেগে পুড়ে ছাই হচ্ছে সব, সেখানে অনুমতি কিসের?
বিমান বন্দরের কর্তৃপক্ষ গেটে তখনও তালা মেরে রেখেছিল, ফায়ার সার্ভিসকে ঢুকতে দেয়নি। সাধারণ মানুষদেরকেও ঢুকতে দেয়নি সেই সময় মালামাল বের করতে, তখন আগুনের পরিমাণ অল্প ছিলো।
সাধারণ জনগণ বারবার বলছিল আমাদের অনুমতি দেন আগুনের পরিমাণ কম থাকতে আমরা চেষ্টা করি, কিন্তু বন্দরের কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি।
বিমান বন্দরের কর্তৃপক্ষ যখন ফায়ার সার্ভিসকে অনুমতি দেয় তখন আগুন দানবের মতো ভয়াবহ রুপ নেয়।
বন্দরে একাধিক পানির লাইন ও আশেপাশে পুকুর থাকতেও ফায়ার সার্ভিস বলেছে পানির সংকট।
আর এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন, আগুন লাগার কারণ জানতে চার দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে! হায়রে আমার দেশ!
ঘরের ইন্দুর ঘরের কাপড় কেটে রাখলো, আর এখন বিশেষজ্ঞ আসবে কারণ জানতে! দুধেও ভেজাল আছে, আলমের কথায় ভেজাল নেই।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কি-না তা তদন্তের জন্য চার দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কিনা সেটি তদন্তের জন্য আমরা চার দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
প্রথমে ইংল্যান্ডকে পরে আরও তিনটি দেশ—অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও চীনকে তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সেসব দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসবে এবং তারা তদন্ত করবে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’
শনিবার (২৫ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আগুন নেভাতে বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ব্যর্থ হননি। তারা যদি ব্যর্থ হতেন তাহলে আগুন নেভালো কী করে। তারা আগুন না নেভালে তো সব জায়গায় ছড়াতো।
বিমানবন্দরের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের টিম থাকার পরও পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসতে পারলো না কেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। বিমানবন্দরের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো রয়েছে সেগুলো ৪ মিনিটের মাথায় সেখানে এসেছে।
ফায়ার ব্রিগেডের অন্যান্য ইউনিটগুলো পর্যায়ক্রমে ২০ মিনিটে চলে এসেছে। অন্য টিমগুলো একটু দেরিতে আসায় হয়তো আগুন ছড়িয়ে গেছে। এজন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। গুদামগুলোতে কেমিক্যাল থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
