ঢাকা: ষড়যন্ত্রকারীদের বর্বর সন্ত্রাসের মুখে আওয়ামী লীগ। তবে এই বটগাছকে থামিয়ে রাখা যায়নি কখনো।
ইউনূস গং-এর জুলাই ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও লুটপাটের ফলে দেশের শান্তি ও প্রগতি বাধাগ্রস্ত। বিশ্বের দরবারের বাংলাদেশের সম্মান আজ ভুলন্ঠিত।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুয়া মামলা চলেছে। কারাগারে মারা গেছেন কতজন। বিশাল ষড়যন্ত্র, একনায়কতন্ত্র চলছে বাংলাদেশে।
এই বাংলাদেশ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের জয়ী দেশ এখন আর কাজেকর্মে মনে হয় না। আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়েছে দেশের।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ১৬৭ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলা এমন প্রতিদিন হচ্ছে। যার কোনো নির্দিষ্টতা নেই। ওয়ারেন্ট, অভিযোগ ছাড়াও আটক করে নেয়া হচ্ছে লীগ নেতাদের।
উক্ত মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছাড়াও প্রভাবশালী লোকজন।
জানা যাচ্ছে , বাশঁখালী উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়ামুন নাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ।
তবে জুলাই আগস্টের আন্দোলন যে জঙ্গী আন্দোলন ছিলো, তার আর দেশবাসী জানার বাকি নেই। ষড়যন্ত্র করে রক্তাক্ত পথে হেঁটে মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় বসেছেন।
দেখা গেছে, মামলায় আসামি তালিকায় পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘সুফি’ মিজানুর রহমান ছাড়াও রয়েছেন তার তিন ছেলে— পিএইচপি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পরিচালক আমির হোসেন সোহেল ও আখতার পারভেজ চৌধুরী।
তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে টাকা ছিটানোর ভুয়া অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার নুরুচ্ছাফা তালুকদারের পুত্র হাছান মাহমুদ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বনফুল কোম্পানির মালিক এমএ মোতালেব এবং আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য ও সমকাল পত্রিকার প্রকাশক এ কে আজাদ, ঢাকার গুলশান এলাকার বাসিন্দা ও বাংলা টিভির এমডি সৈয়দ সামাদুল হক।