ঢাকা: নাটোরের বরেণ্য শিল্পী লালনকন্যা খ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই!

চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা গেছেন।

তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন।

‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’, কিংবা ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’– লালন ফকিরের এসব গান একাকার হয়ে গেছে ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে।

তাঁর গাওয়া লালনের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে চলেছে পাঁচ দশক ধরে। তিনি পেয়েছেন ‘লালনকন্যা’ আখ্যা।

রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফরিদা পারভীন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, সপ্তাহে দুই দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।

নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে যান না-ফেরার দেশে।

১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন জীবনের ৫৫ বছর।

শৈশবে যখন মাগুরায় ছিলেন, তখন ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ি হয় তাঁর। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তালিম থেকে দূরে থাকেননি। নিজের চেষ্টা চালিয়ে যান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *