ঢাকা: “বেতন ঠিকমতো পাও”? বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তো শুধু আছেন এই প্রশ্ন করার জন্যেই আর জনগণকে জুজুর ভয় দেখানোর জন্যে।
বাচ্চাদের আমরা যেমন কোনো দুষ্টুমি করলে ভয় দেখাই, জুজু আসবে। ঠিক বৃদ্ধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়েছেন সেরকম। জনগণকে আওয়ামী লীগের ভয় দেখান।
অথচ এই দেশের জনগণ খুব ভালোমতো জানে, আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেরকে সোজা কেউ করতে পারবে না আর দেশের হাল ধরার মতো কোনো যোগ্য দল নেই। কারো ক্ষমতা নেই। তাই সবকিছুতেই একটা ফলস ভয় দেখিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে রাখতে চান এই মিথ্যাবাদী উপদেষ্টা।
দেশের জনগণ বলছে, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে চাই দেশের উন্নয়ন করছে। দেশ আগে ভালো চলছে আমাদের কামাই রুজি ভালো হইছে’!
বাংলাদেশের সিংহভাগ নাগরিক মুক্তযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমর্থক। আওয়ামী লীগ সরকার আমলেই দেশের জনগণ নিজের ও সামগ্রিকভাবে দেশের ভাগ্যবদল হতে দেখেছে।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের একটি রোল মডেলে রুপান্তরিত করেছিলেন আয়রন লেডি খ্যাত জননেত্রী শেখ হাসিনা। মানুষ তো ভালো থাকতেই তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচন করে, তাই না?
মবের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসা এই অগণতান্ত্রিক-অসাংবিধানিক সরকার এই বৃহৎ সংখ্যক জনগোষ্ঠীর (যারা আওয়ামী লীগকেই সরকারে চায়) মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচন পরিচালনা করার চেষ্টা করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল তা ধরে রাখতে হবে। ঐক্যে ফাটল ধরলে ‘ফ্যাসিস্ট’ ঢুকে যেতে পারে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যে দলের কার্যক্রম নেই, তারা তো নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উৎসবমুখর নির্বাচন চাই। পুলিশ নিস্ক্রিয় নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যতটা প্রস্তুতি দরকার সব প্রস্তুতি আছে।
অথচ তিনি জবাব দিতে পারবেন, একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ ঘন্টা নাগাদ শিক্ষার্থীরা মার খাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ-আর্মি কেউ কেন ঘটনাস্থলে যায়নি?
কার নির্দেশে প্রশাসন এখনো যায়নি?
কারা শিক্ষার্থীদেরকে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কী বলবেন?