ঢাকা: ইউনূস যতই বলুন তিনি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, আর যতই তিনি পশ্চিমাদের পা চাটুন না কেন তিনি বরাবর নিজের স্বার্থের জন্যে জনগণকে কুক্ষিগত রাখতে চেয়েছেন।
এত সুন্দর সাজানো দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেলেন একটা বছরে। সাংবাদিকরা মন খুলে রিপোর্ট করতে পারে না, প্রশ্ন করতে পারে না। টুঁটি চেপে ধরা হয়। মব করে মেরে ফেলা হয়। এই কী ছিলো তাঁর মনে?
বাংলাদেশে সত্য বলার অধিকার আজ প্রশ্নবিদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ানো, জনগণের পক্ষ হয়ে কথা বলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরা এসব কি অপরাধ? সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দেখা যাচ্ছে, এক সাহসী সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না এই অপরাধের দায়ে আজ কারাগারে অবরুদ্ধ রয়েছেন।
মঞ্চ ৭১ ব্যানারে গোলটেবিল করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে নিজের হাতকড়া উঁচিয়ে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না বলেছেন, সাংবাদিকরা সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এই হাতে লেখে। দেখেন আমার এই হাতেই হাতকড়া। বলুন, সাংবাদিকরা কি লিখবে। কার পক্ষে লিখবে।
আপনাদের কি মনে হয় আমরা সন্ত্রাসী? মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বলা বা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলা এগুলো কি সন্ত্রাসী করা বলে। দেশের সূর্য সন্তানরা এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। এ দেশকে যারা স্বাধীন করেছে, তাদের সঙ্গে থাকা মানে কি সন্ত্রাসী করা? এটা কি আপনাদের মনে হয়।
এ সময় পান্না বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলা কি দোষ। আমরা সাংবাদিকরা কি কথা বলতে পারব না।
সাহসী কণ্ঠস্বরের বিরুদ্ধে দমননীতি চলছে বিগত এক বছর ধরে।
সাংবাদিক পান্না ছিলেন অকুতোভয় কণ্ঠস্বর। তিনি নির্ভয়ে তুলে ধরেছেন অবৈধ ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় এবং গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড।
জনগণের চোখে চোখ রেখে সত্য উচ্চারণের দায়েই তিনি আজ অভিযুক্ত, অপরাধী, বন্দি। অথচ তাঁর একমাত্র অপরাধ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অবস্থান।
১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি নানা সময়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের স্তব্ধ করার চেষ্টা করেছে। পান্নার ঘটনা সেই ধারাবাহিকতারই নির্মম প্রতিচ্ছবি।