ঢাকা: বিমানের টিকিট বিক্রির অনলাইন ওয়েবসাইট ফ্লাইট এক্সপার্ট কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গায়েব!
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে – সুদখোর ফেরাউন ইউনুস এবং তার অবৈধ কুলাঙ্গার উপদেষ্টা “এনসিপি” সমন্বয়ক’রা এইসব করিয়েছে!
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটটি বন্ধ হয়ে গেছে।
গ্রাহকরা মারাত্মক ফ্যাসাদে পড়েছেন।
ওয়েবসাইটটি দিয়ে যারা প্লেনের টিকিট কেটেছিলেন, সেই টিকিটগুলো আর দেখা যাচ্ছে না।
শুধু গ্রাহকরা নয়, যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ও হজ এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে টিকিট কিনে বিক্রি করত, তারাও ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছেন না। তারা নিজেদের টিকিট এবং ওয়ালেটে জমা টাকার পরিমাণও দেখতে পারছে না।
প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেছে, প্রতিষ্ঠানের মালিক টিকিটের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইটে ঢুকতে না পেরে প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলের সিটি সেন্টারের কার্যালয়ে ভিড় করেছেন শত শত ট্রাভেল এজেন্ট এবং হজযাত্রীরা।
প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিইও সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম।
সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, আপনাদের সঙ্গে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করতে চাই।
সম্প্রতি একটি পরিকল্পিত বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি। সাঈদ হোসেন ও সাকিব এ ঘটনার পেছনে ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে তারা সমন্বিতভাবে সমস্ত দায় আমার ওপর চাপিয়ে দেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগও দেওয়া হয়নি। আজ সকালে তারা প্রায় ৩ কোটি টাকা তুলে নেন এবং নিজেদের কাছে রেখে দেন।
এরপর থেকেই কোম্পানির কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। দায় চাপানো ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আমি শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছি। এভাবে সরে যাওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না– আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।