ফেনী: চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। ঘন্টায় ঘন্টায় পরিবর্তন হচ্ছে ফেনীর পরিস্থিতি।

ফেনীর মুহুরী নদীর চারটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। লোকালয়ে ঢুকছে পানি। অবস্থা বিপদাপন্ন।

বিপদ সীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে উজানের ঢল। ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গত ২৪ ঘন্টায় দেশে সর্বোচ্চ।

ফেনী ভাসলো, আবেগ বিক্রি হলো—কোটি কোটি টাকা গেল কোথায়?

ফেনীর বন্যার কথা কেউ ভুলে যায়নি। ২০২৪ সালের সেই বিভীষিকা, যখন বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলো ঘর-বাড়ি, মানুষ আপনজন, আশ্রয় হারিয়েছিলো।

বন্যায় শত শত মানুষ হয়ে গিয়েছিলো নিঃস্ব।

সেই সময় পুরো বাংলাদেশ এক হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ফেনীবাসীর পাশে। কাঁদছিলো ফেনী, আর পাশে কাঁদছিলো গোটা দেশ। দানে, সাপোর্টে, ভালোবাসায়—মানুষ এক হয়ে সাহায্য করেছিলো।

কিন্তু…

ঠিক তখনই আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছিলো।

ঘর বানানোর প্রতিশ্রুতি, বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে তুলে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা।

অবশেষে ফেনীবাসী কী পেয়েছে? কিন্তু মুখ খোলা যাবে না। মুখ খুললেই জেল বা মব।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিলো এই বন্যা। তখন ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে, এটা স্বাভাবিক বন্যা না। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গার বন্যা। এটা কত গভীরভাবে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, সেটারও কোনো ধারণা ছিল না।

সুযোগ পেলেই তো ভারতবিরোধী লোকজন ভারতের বিরুদ্ধাচারণ করা শুরু করে। ফেনীর বন্যাতেও করেছিলো এর আগে।

ভারত বিরোধীরা সব কাজে ভারতকে জুজু দেখে।

বন্যাদুর্গতদের বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কেউ কেউ চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আমরা ভারতকে ঘৃণা করি। এটা ভারতের পানি।’

আসলে তা ছিলো না।

আগের বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার বন্যা।

ফুলগাজীতে মুহুরী নদীপাড়ের রাস্তা ভেঙে দুটি দোকান তলিয়ে গেছে। ফুলগাজী বাজার থেকে রাজেশপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে।

ফেনীর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের অন্তর্বর্তী সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *