ঢাকা: মারাত্মক বন্যা এবারো ভাসালো বাংলাদেশকে। বন্যায় ত্রাণ কোন সমাধান না। গত বছরের ২৪ এর বন্যা ক্ষতি এখনো কেটে ওঠেনি অনেকের। এর মধ্যেই বারবার ফেনীতে বন্যা! তবুও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে না!

একটি জেলার মানুষ কতবার ডুবলে টনক নড়বে সরকার, প্রশাসনের?

স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো আওয়াজ নেই। যে যার মতো আয়েসে আছে। স্থায়ী সমাধান বলতে কিছু নেই।

গত বছরের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি শুকাতে না শুকাতে আবারও সেই বন্যার মুখোমুখি হলো ফেনীবাসী।

এবারের ভয়াবহ বন্যায় ফুলগাজী-পরশুরামের মানুষের চরম অনিশ্চয়তা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ত্রাণ কিংবা সহযোগিতা চায় না। তারা চায় স্থায়ী সমাধান। তাদের দাবি, বন্যা মোকাবেলায় ৭ হাজার ৩শ ৪০ কোটি টাকার যে প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে সেটি যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়।

দেশের ২১টি জেলায় টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ৭২ হাজার ৭৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ, উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

যে কৃষকদের ধ্বংস হয় কেবল তারাই বোঝে, এর যন্ত্রণা। আউশ, বোনা আমন, আমন বীজতলা, পাট, শাকসবজি, ফলবাগান, কলা, তরমুজ, পানসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

কার কাছে বিচার চাইবে এরা?

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মাঠতথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলায় এই ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

দেখা যাচ্ছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুমিল্লায়, সেখানে ১১,৫৯০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

নোয়াখালীতে ক্ষতি হয়েছে ৭,৮০৬ হেক্টর এবং ফেনীতে ১,৬৫৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *