ঢাকা: মূলত বিচারের হাতে হাতকড়া পরিয়ে রেখেছে ইউনূস ও তাঁর বাহিনীরা। নাহলে ২০২৫ এ এসে এইরকম প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখতে হয়? আদালতের বিচার এমন পক্ষপাতের হয়?

রায় লেখার জন্য বিচারপতিকে গ্রেফতার করা যে কোনও আইনি মানদন্ডে নিন্দনীয় এবং তা পরিত্যাজ্য।

এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য একটি অশনি সংকেত। এবং আগামির জন্য বিপদ সংকেত।

বাংলাদেশের বিচারিক সংস্কৃতি ও সভ্যতায় এটি একটি কলঙ্কের তিলক।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তাঁকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে!

একটি রাষ্ট্রের তিনটি ভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ একটি । তিন বিভাগ, অর্থাৎ আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ স্বাতন্ত্র্য ।

একটি বিভাগ যেন আরেকটি বিভাগের উপর কর্তৃত্ব না করে, সেটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য ।

তা বিচার বিভাগের কোন রায় আইন বা শাসন বিভাগের পছন্দ নাও হতে পারে যে কোনো কারণে ।

কিন্তু সেজন্য বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ একেবারেই গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
বাংলাদেশে তো এই কাজ হয়েই চলেছে।

খায়রুল হকের গ্রেপ্তারি আমাদের বহু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।

আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়-
বিগত দিনে যেসব বিচারপতি বিএনপি- জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের বিচারে যারা বিচারক ছিলেন তাদেরও কি এইভাবে মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে?

খায়রুল হকের গ্রেপ্তার তো তারই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বর্তমানের বিচারকরাই বা কতটুকু নিরাপদ ইউনূসের গং এর হাতে?

এই যে একটা ভয়ংকর কালচার শুরু হয়েছে দেশে থামার কোনো লক্ষণ নেই।

শাহবাগ থানায় দায়ের করা রায় জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

এদিন, বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে আদালত এই আদেশ দেন।

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন খায়রুল হক।

২০১১ সালের ১৭ মে অবসরে যান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর, তিনি ১৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *