ঢাকা: সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মারা গেছেন। রাষ্ট্রীয় অবহেলায় মারা গিয়েছেন তিনি। এই ইউনূস রাষ্ট্র তাঁকে মেরেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কজন বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রীর জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো কেটেছে হাসপাতালের বিছানায়, হাতে হাতকড়া নিয়ে। এই হচ্ছে মানবদরদী ইউনূসের শাসন।
কোথাও খালেদা জিয়াকে এইভাবে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা? বরং তিনি আসামি হওয়া সত্ত্বেও খালেদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর কয়েকটি ছবি। ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় নিথর দেহে পড়ে থাকা সাবেক এই মন্ত্রীর হাতে তখনও পরানো রয়েছে ধাতব হাতকড়া।
এই দৃশ্যকে ‘নৃশংস’ ও ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।
জানা যায়, কারাগারে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে কিছুদিন আগে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু তাঁর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আবু নোমান মো. মোসলেউদ্দিনের নির্দেশে তাঁকে জোর করে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়, যা তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতির কারণ।
হুমায়ূনের সমর্থকদের অভিযোগ, অতীতে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ডা. নোমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এই হিংসার কাজটি করেছেন।
আসলে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। একজন মুমূর্ষু রোগীকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা কোন ধরনের সভ্যতা?
উল্লেখযোগ্য যে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এই মৃত্যুকে “জামায়াত-শিবিরের এজেন্টদের দ্বারা সংঘটিত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তাঁরা বলছেন, “একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের জীবনের শেষ পরিণতি যদি হাতকড়া পরা অবস্থায় হয়, তবে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”