ঢাকা: গুজব উঠেছিলো, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পালিয়ে গেছেন।

চিকিৎসার জন্য তিনি বাইরে গিয়েছেন, এই কথা মানতে নারাজ ছিলো অনেকেই। তাঁর দেশত্যাগের খবরে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।এই আদর্শিক ব্যক্তিকে কম অপবাদ শুনতে হয়নি!

তাঁকে দেশে ফিরতে না দেয়ার জন্য যত ষড়যন্ত্র আর কলা কৌশল ছিলো সবই প্রযোগ করা হয় কিন্তু হেরে গেছে একজন দেশপ্রেমিক বয়োঃবৃদ্ধ মানুষের সাহস, সততা আর মা, মাটি,মোহনার টানের কাছে।

আওয়ামীলীগের প্রত্যেক আওয়ামী লীগের আদর্শিক কর্মীর কাছে অনুপ্রেরণার অদ্বিতীয় নাম হয়ে থাকবে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

আজ তাঁর মতো ব্যক্তি, যিনি ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলা থাকার পরেও জীবনের অন্তিম মুহূর্তে দেশের টানে আবার ফিরে আসলেন৷

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন। রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) তিনি ঢাকায় ফেরেন।

অবতরণের পর ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হুইল চেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। রাত পৌনে ৩টার সময় সাবেক রাষ্ট্রপতির ইমিগ্রেশন শেষ হলে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এ সময় দেখা যায় তাঁর পরনে ছিল শার্ট এবং লুঙ্গি। আবদুল হামিদ খুব ক্লান্ত ছিলেন।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান যান।

আবদুল হামিদ ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি, ২০১৮ সালে ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *