ঢাকা: দলে দলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢুকছে আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
সাধারণ জনগণের নিরাপত্তায় হুমকি এই রোহিঙ্গাগোষ্ঠী।
এদের এখন অর্থের অভাব নেই।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইট, রড, সিমেন্টের তৈরি আধাপাকা ঘর এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখা যায় নি।
উখিয়ার ৮ নম্বর ক্যাম্পের ইস্ট ব্লকের বি-৪১ এলাকায় এমনই একটি পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নবী হোসেন।
এই ঘরটি ব্যবহার হতো ডাকাতি, অপহরণ ও মাদক ব্যবসার ঘাঁটি হিসেবে।
জানা গিয়েছে, নবী হোসেনের আস্তানায় সশস্ত্র সদস্যরা নিয়মিত মিয়ানমার থেকে মাদক এনে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো নানা অপরাধে জড়িত।
আইন অমান্য করে একটি স্থায়ী আস্তানা গড়ে তুলেছিলো নবী হোসেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ এই সেমিপাকা ঘরের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) গাজী শরিফুল হাসান জানান, সেনাবাহিনী ও ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ঘরের একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো ঘর ভাঙা হয়নি।
গত ১৫ জুলাই টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজারে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ইমন (২৫), মো. ইলিয়াস (১৯) নামের দুইজনকে।
উদ্ধার করা হয় ৬টি ইউনিফর্ম, ২০০ কেজি চাল, ১০০ কেজি ডাল, সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি।
এছাড়াও এর আগে ১৩ জুলাই গভীর রাতে বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার হয় ১টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ ১৪ লাখ টাকা।
আটকরা হলেন মোহাম্মদ আনাস (৩০), মনসুর আহমেদ (৩২), ইয়াসের আরাফাত (৩৫), কেফায়েত উল্লাহ (৩৫)।