ঢাকা: রামু থেকে গঙ্গাচড়া: একই নাটকের পুনরাবৃত্তি, একই রক্তের হোলিখেলা!

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একের পর এক সংখ্যালঘু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দুদের প্রাণে মারা হচ্ছে।

রামু থেকে গঙ্গাচড়া পর্যন্ত একই চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ৫ আগস্টের পর হিন্দুদের পরিস্থিতি খারাপের থেকে খারাপের দিকে। ইউনূসের অঙ্গুলি হেলনে সব কাণ্ড ঘটছে।

হিন্দুদের ঘরে আগুন, মন্দিরে হাতুড়ির আঘাত, জনজীবনে আতঙ্ক। বিচার? রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখে-মুখে কালো পট্টি বাঁধা।

এই বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার অর্থই হলো—নিজের বাড়িতে শঙ্কিত প্রাণী হয়ে থাকা। এটাই এখন রাষ্ট্রের “অফিশিয়াল” নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এত প্রতিবাদ, ক্ষোভেও কোনো কাজের কাজ নেই।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট প্রতিবারের মতো এবারো পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।

তবে এবার অন্যান্য বারের থেকে একটু ভিন্ন রুপে অংশগ্রহণ করে সংগঠনটি।
“রামু থেকে গঙ্গাচড়া” বিচার পায়নি সংখ্যালঘুরা” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে বিগত কয়েক বছরের হিন্দু নির্যাতনের চিত্র ও প্রতিবাদ তুলে ধরে।

এবং ছাত্র-যুব ৮ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে বলেন- আমরা চাই হিন্দু নির্যাতন মুক্ত বাংলাদেশ। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।

হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে বলেন, আমরা আজকে বিগত কয়েক বছরের হিন্দু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছি আমরা চাই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হোক।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সাহা রাজ বলেন, আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট যে ৮ দফা দিয়েছিলাম আমরা ছাত্র সমাজ অতি দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *